জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রকাশিত হয়েছে কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলে-র (Asha Bhosle) বায়োগ্রাফি, আশা ভোঁসলে: আ লাইফ ইন মিউজিক। বইটি লিখেছেন রম্যা শর্মা। বইটি প্রকাশক অ্যামারিলিস, যা মঞ্জুল পাবলিশিং হাউস-এর একটি শাখা। তাঁর এই জীবনীতে আশা ভোঁসলে-র ব্যক্তিগত জীবনের কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, যা পড়ে বা জেনে অবাক অনুরাগীরা।
আরও পড়ুন- Sunjay Kapur: ‘সঞ্জয়কে সবাই ভুল বুঝেছে, করিশ্মার সঙ্গে ডিভোর্সের পর ও…’, আকুল কান্না স্ত্রী প্রিয়ার
বইটিতে তাঁর স্বামী গণপতরাও ভোঁসলে-র সঙ্গে বিয়ে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যিনি আশার থেকে ২০ বছর বড় ছিলেন। এই সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত দুঃখ আর কষ্টেই গিয়ে পৌঁছেছিল। আশা ভোঁসলে লিখেছেন, “ওদের পরিবার খুব রক্ষণশীল ছিল, তারা একটা গায়িকাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। আমার স্বামীর মেজাজ খুব খারাপ ছিল। হয়তো তিনি কষ্ট দিতে ভালোবাসতেন, হয়তো তিনি স্যাডিস্ট ছিলেন। কিন্তু বাইরের কেউ এসব জানতে পারত না। আমি তাঁকে সবসময় সম্মান দিয়েছি, কখনো প্রশ্ন করিনি। আমি শুধু নিজের কর্তব্য পালন করতাম।”
তিনি আরও বলেন, “একবার আমার মনে হয়েছিল আত্মহত্যা করি। আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। আমি চার মাসের গর্ভবতী ছিলাম এবং হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, যেখানে অবস্থা এত খারাপ ছিল যে মনে হয়েছিল আমি নরকে চলে এসেছি। মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলাম। তখন পুরো এক বোতল ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার গর্ভের সন্তানের প্রতি ভালোবাসা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আমি মারা যাইনি। আমি আবার জীবনে ফিরে এসেছিলাম।”
আরও পড়ুন- Dev-Subhashree: ‘গত ৯ বছর ধরে শুধু পালিয়ে বেড়াচ্ছি…’, ধূমকেতুর প্রথম ঝলকে ঠোঁটে ঠোঁট দেব-শুভশ্রীর…
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি তাঁর দিদি এবং ভারত রত্ন লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে বলেন, “আমাদের ছোটবেলা থেকেই গলার সুর প্রায় এক ছিল। যদি আমি লতা দিদির স্টাইলে গান গাইতাম, তাহলে কেউ আমাকে গাইতে ডাকতো না। তাই আমি ঠিক করেছিলাম লতা দিদির মতো কখনো গাইব না।” তাঁর নাতনিকে নিয়ে আশা বলেন, “ও আমার থেকে অনেক বেশি প্রতিভাবান।”
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)