নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে কার্যত সাড়াশব্দ নেই। তবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিয়ে এবার জোর গুঞ্জন লুটিয়েন্স দিল্লিতে। শোনা যাচ্ছে, সংসদে এবার দেখা যেতে পারে কেজরিওয়ালকে। রাজ্যসভার সাংসদ হতে পারেন তিনি। শীঘ্রই তাঁর নাম মনোনয়নের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। (Arvind Kejriwal)
এবারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে নয়াদিল্লি কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন কেজরিওয়াল। ফলে বিধানসভাতেও জায়গা পাননি তিনি। দলের নেত্রী অতিশী এই মুহূর্তে দিল্লি বিধানসভার বিরোধী নেত্রী। আর সেই আবহেই কেজরিওয়াল সংসদে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর। সেই নিয়েই এই মুহূর্তে জোর চর্চা জাতীয় রাজনীতিতে। (Aam Aadmi Party)
দলের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জীব অরোরাকে পঞ্জাব বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছে আম আদমি পার্টি। লুধিয়ানা ওয়েস্ট থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। ওই আসনে এতদিন বিধায়ক ছিলেন আম আদমি পার্টিরই গুরপ্রীত গোগি। গত মাসে মারা গিয়েছেন তিনি। সেই আসনে সঞ্জীবকে প্রার্থী করা হয়েছে। আর তাঁর জায়গায় কেজরিওয়ালকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
২০২২ সাল থেকে রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জীব। ২০২৮ সাল পর্যন্ত মেয়াদ ছিল তাঁর। বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর সংসদ থেকে ইস্তফা দেবেন। আর তাঁর সেই শূন্য আসনে কেজরিওয়ালকে বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে আম আদমি পার্টি।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর এই মুহূর্তে শুধুমাত্র পঞ্জাবে সরকার রয়েছে আম আদমি পার্টির। দিল্লিতে সরকারি বাংলো ছেড়ে আগেই বেরিয়ে যেতে হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। বর্তমানে দিল্লিতে পঞ্জাবের সাংসদ অশোক মিত্তলের বাড়িতে রয়েছেন তিনি। সংসদে প্রবেশ করলে পৃথক বাংলো পাবেন তিনি।
পাশাপাশি, কেজরিওয়ালের সংসদে প্রবেশ জাতীয় রাজনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ রাহুল গাঁধী, অখিলেশ যাদবের মতো বিরোধী শিবিরের অন্যতম প্রধান মুখেরা সংসদে বিজেপি-কে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন। রাজ্যসভায় তিনি প্রবেশ করলে বিরোধীদের হাত আরও শক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবিরেও ফাটল চোখে পড়েছিল। আবগারি দুর্নীতি থেকে ‘শিশমহল’ বিতর্ক, কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। কেজরিওয়ালকে বিজেপি-র ‘বি’ টিম বলেও আক্রমণ শানানো হয়। তাই সংসদে তাদের সঙ্গে কেজরিওয়াল কতটা সদ্ভাব রেখে চলেন, তাও দেখার। বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লিতে কেজরিওয়ালের সমর্থনে এগিয়ে গিয়েছিল অন্য বিরোধী দলগুলিও। ফলে সংসদের অন্দরে বিরোধী দলগুলির পারস্পরিক সমীকরণের দিকেও নজর থাকবে গোটা দেশের।
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours