NOW READING:
হেফাজতে ফিরল অভিশপ্ত পুতুল! পর পর অঘটনে নাকি তারই হাত? Annabelle Doll-কে নিয়ে প্রশ্ন
June 3, 2025

হেফাজতে ফিরল অভিশপ্ত পুতুল! পর পর অঘটনে নাকি তারই হাত? Annabelle Doll-কে নিয়ে প্রশ্ন

হেফাজতে ফিরল অভিশপ্ত পুতুল! পর পর অঘটনে নাকি তারই হাত? Annabelle Doll-কে নিয়ে প্রশ্ন
Listen to this article


নয়াদিল্লি: ট্যুরে বেরিয়ে গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে ছড়িয়েছিল খবর। অবশেষে জানা গেল, যথাস্থানেই ফিরে এসেছেল ভুতুড়ে পুতুল Annabelle (অ্যানাবেল)। পুতুলটি অক্ষত রয়েছে, কোনও লাগামছাড়া আচরণ করেনি বলে যদিও দাবি করা হচ্ছে, কিন্তু ভুতুড়ে পুতুলের সঙ্গে একাধিক অঘটনের যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন সকলে, যার মধ্যে রয়েছে জেল ভেঙে কয়েদির পালিয়ে যাওয়া, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও। (Annabelle Doll)

ভূত নিয়ে আগ্রহ যাঁদের, ভুতুড়ে কাণ্ড কারখানায় বিশ্বাসী যাঁরা, তাঁদের জন্য সম্প্রতি বিশেষ আয়োজন করেন ভুতুড়ে পুতুল অ্যানাবেলের মালিক টোনি স্পেরা। আমেরিকায় ‘প্যারানর্ম্যাল ট্যুর’-এ বেরোন তিনি ও তাঁর সহযোগীরা। পুতুলটিই মূল আকর্ষণ ছিল এই ট্যুরের। কিন্তু সম্প্রতি লুইজিয়ানায় গেলে পুতুলটি নিখোঁজ হয়ে যায় বলে খবর আসে। প্রথমে খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, এখন জানা যাচ্ছে, পুতুলটিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। (Annabelle Doll Story)

সেই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে আশা-আশঙ্কার মেঘ জমছিল অনেকের মনে। কিন্তু পুতুলের মালিক টোনি জানিয়েছেন, অ্যানাবেলকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কানেটিকাটের মনরোতে ওয়ারেন অকাল্ট মিউজিয়ামে তালাবন্ধ করে রাখা আছে পুতুলটি। টোনি The New York Post-কে বলেন, “প্যারানর্ম্যাল জগতের প্রতি আকর্ষণ যাঁদের, তাঁদের জন্যই পুতুলটিকে বেশ কিছু জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলাম আমরা। একটি বারের জন্যও সংযম হারায়নি পুতুলটি। পুতুলটিকে দেখভাল করতে, এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করি আমরা।”ট

কিন্তু অ্যামাবেল কোনও কাণ্ড ঘটায়নি বলে টোনি দাবি দাবি করলেও, দু’টি অঘটনের সঙ্গে অ্যানাবেলের যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন কেউ কেউ। তাঁদের দাবি, নিউ ওরলিন্সে অ্যানাবেল পৌঁছনোর পরই ১৫মে নোট্টোওয়ে প্ল্যান্টেশনে আগুন লাগে। ১৬ মে ওরলিন্স জাস্টিস সেন্টার ভেঙে পালায় কুখ্যাত অপরাধীরা। শেষ পর্যন্ত ওই কয়েদিদের ধরা গেলেও, এক নেপথ্যে অ্যানাবেলের হাত দেখছেন কেউ কেউ। যদিও Ghost City Tours-এর প্রতিষ্ঠাতা টিম নিলন বলেন, “বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না অনেকে। আমি তো ইনস্টাগ্রাম, টিকটকে রসিকতাও দেখতে পেলাম।”

কল্পনা বলে উড়িয়ে দিলেও, ভূতের গল্প পড়েননি, ভূতের সিনেমা দেখেননি, এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। তাই ভূতের গল্প আজও লেখা হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে ভূতের সিনেমা, এমনকি ভূতের ভয়কে নির্ভর করে গড়ে উঠেছে আস্ত পর্যটন শিল্পও। আর এই ভূতের ভয়ের অন্যতম চরিত্র হল অ্যানাবেল। বিদেশি নাম হলেও, ভারতেও ভুতুড়ে পুতুলের গল্প সর্বজনবিদিত। অপঘাতে মৃত্যুর পর পুতুলে আশ্রয় নেওয়া আত্মা কী ভাবে প্রতিশোধ নেয়, বিভিন্ন ভাষায় এমন ছবি তৈরি হয়েছে। 

হলিউডের ‘The Conjuring’ ইউনিভার্সেও জায়গা করে নেয় ‘Annabelle’. কিন্তু এই কাহিনির আমদানি আমেরিকা থেকেই। কথিত রয়েছে, ১৯৭০ সালে এক মহিলা মেয়ের জন্য দোকান থেকে Ann Doll কিনে আনেন, যা আসলে কাপড়ের পুতুল ছিল। মেয়ের ডনার জন্মদিনেপ উপহার হিসেবে সেটিকে বাড়িতে আনেন তিনি। ডনা নার্সিং পড়ুয়া ছিলেন। ছোট্ট ফ্ল্যাটে আর এক সহপাঠী অ্যাঞ্জির সঙ্গে থাকতেন। পুতুলটি তাঁদের দু’জনেরই খব পছন্দ হয়। কিন্তু পুতুলটিকে ঘরে আনার পর থেকেই অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাকে। তাঁদের দাবি ছিল, নিজে থেকে পুতুলটি এদিক ওদিক জায়গা বদল করছিল, কখনও পা মুড়ে বসছিল, কখনও আবার পা ছড়িয়ে। শিশুর মতো হাতের লেখায় মেসেজও পেতে শুরু করেন দু’জনে, যাতে সাহায্য় চাওয়া হয়। 

কথিত রয়েছে, একরাতে বাড়ি ফিরে পুতুলটিকে নিজের বিছানায় দেখেন ডনা।  তুলে হাতে নিতে দেখতে পান রক্ত পড়ছে। আতঙ্কে এর পর ঝাড়ফুঁকের দিকে এগোন ডনা এবং অ্যাঞ্জি, তাতে জানা যায়, পুতুলটির মধ্য়ে Annabelle Higgins নামের এক সাত বছরের বালিকার আত্মা রয়েছে। আগে ওই ফ্ল্যাটেই থাকত মেয়েটি। কিন্তু রহস্যজনক ভাবে তার দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু তার পরও পুতুলটির মায়া ত্যাগ করতে পারেননি ডনা। কিন্তু তাঁর বন্ধু লুও পুতুলটিকে পছন্দ করতেন না। একরাতে হঠাৎ ঘুম ভাঙে লুও-র। কিন্তু নড়তে পারছিলে না তিনি। চোখ মেলে দেখেন পায়ের কাছে বসে পুতুলটি। একসময় পর অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। এমনকি শ্বাসরোধ করে কেউ হত্যার চেষ্টা করছে বলেও একরাতে মনে হয় লুও-র। উঠে দেখেন, পুতুলটি একদৃষ্টি তাকিয়ে তাঁর দিকে।

ওই পুতুলের মধ্যে আসলে ভয়ঙ্কর কোনও আত্মা প্রবেশ করেছে বলে এর পর সন্দেহ জাগে সকলের। সেই মতো এক পাদরির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। সেখান থেকে প্যারানর্মাল কাণ্ডকারখানা নিয়ে তদন্ত করা এড ওয়ারেন এবং তাঁর স্ত্রীর লরেনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। পুতুলের ভিতর আশ্রয় নেওয়া আত্মাটি ডনা এবং অ্যাঞ্জির মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে ছেলেখেলা করছে বলে জানান তাঁরা। ফ্ল্যাটটিকে শুদ্ধ করে ওই পুতুলটিকে শেষ পর্যন্ত ওই দম্পতিই নিয়ে যান। পরবর্তীতে নিজেদে বাড়িকে যখন মিউজিয়ামে পরিণত করেন, সেখানেই পুতুলটিকে রেখে দেন তাঁরা, যা দেখতে আজও অনেকেই সেখানে ভিড় করেন। বর্তমানে ওই পুতুলের মালিকানা টোনি স্পেরার হাতে, যিনি এড এবং লরেনের জামাই।



Source link