জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যত অদ্ভূত, উদ্ভট কাণ্ড যেন উত্তরপ্রদেশেরই! এবার বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে পালাল বর। বিয়ের অনুষ্ঠানের খাবারের কম পড়েছে, সেই বিয়ের আসরে ক্ষেপে লাল বর। সেই কারণেই বিয়ে মাঝপথ থেকে উঠে চলে গেলেন। তাজ্জব করা ব্যাপার হল, সেই রাতেই অন্য মহিলাকে বিয়ে করে ফেলেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে, উত্তরপ্রদেশের চান্দৌলি জেলার হামিদপুর গ্রামে। সেখানে ২২ ডিসেম্বর মেহতাব নামে যুবকের ছিল বিয়ে। স্বাভাবিকভাবে সাড়ম্বরভাবে বরযাত্রী এসে পৌঁছায় কনের বাড়ি। কনের পরিবার অতিথিদের উষ্ণভাবে স্বাগত জানায়। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল, হঠাত্ই মেহতাবের আত্মীয়রা পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ায় বিয়েবাড়িতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। সেই উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। রেগে গিয়ে বর বরযাত্রী-সহ বিয়ে ছেড়ে চলে যায়।
আশ্চর্যজনকভাবে, মেহতাব একই রাতে অন্য একজন মহিলাকে বিয়ে করেন। জানা গিয়েছে, সেই মহিলা তাঁরই এক আত্মীয়। কনের পরিবার পরবর্তীতে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করে। এমনকী মেহতাবের পরিবার বিয়ের আসর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে যৌতুক হিসাবে ১.৬০ লক্ষ টাকা নেয় বলে অভিযোগ। পুলিস ঘটনার তদন্ত করে। ২৫ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মধ্যস্থতা করে। বৈঠকের সময়, মেহতাবের পরিবার যৌতুক হিসাবে ১.৬০ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়। কনের পরিবার তখন অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি হয়, একটি লিখিত বিবৃতি প্রদান করে যে তারা মেহতাব বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে চায় না।
আরও পড়ুন:Bangladesh: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে চায় বদলের বাংলাদেশ!
উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর দেওঘরের ঘোড়ামারার বাসিন্দা অর্ণবের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বিহারের ভগলপুরের অঙ্কিতার। বিয়ের আসর বসে সাধারণত কনের বাড়িতেই। কিন্তু এখানে সম্পূর্ণ উলটো। বিয়ে বসেছিল বরের পৈত্রিক ভিটেতে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল বর কর্তৃপক্ষ। অবশ্য এসবে রাজি ছিল না অঙ্কিতা। কিন্তু বরের বাড়ি সে কথায় আমল দেয়নি উলটে কিছুটা জোর করেই এসবে উদ্যোগী হয়।
খোলা আকাশের নিচে বিয়ের রীতি পালনের সময় বর কাঁপতে শুরু করে। উপাচার মেনে চলছিল বিয়ের মাঙ্গলিক কাজ প্রচণ্ড শীতের মধ্যে খোলা জায়গায় মঞ্চে হয় মালা বদল পর্বও। সম্পন্ন হয় বিয়ে। এরপর বর ও কনে-সহ দুই পরিবার ভুরিভোজ করে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় করছিলেন। বিদায়ের সময় বর কনেকে একত্রিত করে পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ শুরু করতেই ঘটে বিপত্তি। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান তিনি। ঘরে নিয়ে গিয়ে বরের হাত-পায়ের তালু ঘষতে দেখা যায় আত্মীয়দের। দেড় ঘণ্টা পর অর্ণবের জ্ঞান ফেরে। এসব দেখে, পাত্রী অঙ্কিতা বিয়ে ভাঙতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
কনের দাবি অর্ণব স্নায়ু রোগে ভুগছেন। তাঁর আরও অভিযোগ ছেলের রোগ চেপে যেতেই অর্ণবের পরিবার জোর করে নিজেদের জায়গায় বিয়ের আসর বসিয়েছিল। কনে বিয়ে ভাঙতে চাইলে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়, যা পরে বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়েছিল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)