অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: অন্যের হেপাজতে থাকা ডিয়ার লটারির প্রথম পুরষ্কারের টিকিট নিজের বলে দাবি জানিয়ে থানায় প্রতারণার অভিযোগ। অথচ পুলিশি তদন্তে, অভিযোগকারীই প্রতারক প্রমাণিত হওয়ায় এখন হাজত বাসের অপেক্ষায়। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে।
জানা যায়, সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ করে সাত-কোদালির বাসিন্দা দিনমজুর যুবক সঞ্জিব ভগত(২৯)। তার অভিযোগ, রবিবার সকালে আলিপুরদুয়ার শহরের হাসপাতাল মোড় ১২ নং ওয়ার্ডের এক লটারি বিক্রেতার থেকে সে ২৫ সিরিজের একটি ডিয়ার লটারির টিকিট কাটে । কিন্তু রাত্রে সে তার বাড়ি সংলগ্ন বাইরাগুড়ি এলাকার একটি টিকিট বিক্রেতার কাছে তার টিকিট মিলিয়ে নিতে যায়। বিক্রেতা টিকিট মিলিয়ে কনসোলেশন প্রাইজ উঠেছে বলে টিকিটের বিনিময়ে ৩ হাজার টাকা দেয় বলে অভিযোগ সঞ্জিব ভগতের। কিন্তু সোমবার সকালে তার কাছে খবর আসে তার ঐ টিকিটেই প্রথম পুরষ্কার খেলেছে। পেয়েছে একই গ্রামের বাসিন্দা।
এমনকি আলিপুরদুয়ার শহরের একই বিক্রেতার থেকে কেনা টিকিট, বাইরাগুড়ির একই দোকানে মিলিয়েই প্রথম পুরষ্কার জানাজানি হয়। তাতেই আরও বেশি সন্দেহ দৃঢ় হয় ভগতের। পড়াশোনা না জানায় তার সাথে বাইরাগুড়ি এলাকার টিকিট বিক্রেতা মানিক বর্মন তার সাথে প্রতারণা করে টিকিট হাতিয়েছে বলে অভিযোগ দানা বাধে সঞ্জিব ভগতের। ফলে, নিজের বাবাসহ প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে আলিপুরদুয়ার থানায় প্রতারণার অভিযোগ করে যুবক সঞ্জিব।
অপরদিকে, প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে রহষ্য উদঘাটনে তৎপর হয়ে পড়ে পুলিশ। দুই টিকিট বিক্রেতা,এজেন্সি এবং প্রথম পুরষ্কার বিজয়ি টিকিট হাতে থাকা গ্রাহক ও অভিযোগকারী যুবক সঞ্জিব ভগতের ডাক পড়ে আলিপুরদুয়ার থানায়। সোমবার দুপুরে সমস্ত প্রমানাদি, সিসিটিভি ফুটেজ ও বয়ান ক্ষতিয়ে দেখে প্রমানিত হয় অভিযোগকারী যুবক সঞ্জিব ভগতই প্রতারণার চেষ্টা করেছে। তার কাছে এই অভিযোগের কোনও প্রমান নেই। তাকে আটক করে রেখে দেয় আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ !
অপরদিকে আলিপুরদুয়ার থানার অন্তর্গত সাত-কোদালির বাসিন্দা (সরকারি কর্মী) ললিত ওরাও প্রমান করতে সক্ষম হয় তিনিই কিনেছিলেন টিকিট। এবং প্রথম পুরষ্কার জেতা ১ কোটি টাকা মূল্যের টিকিট-টি ভাঙিয়ে ক্যাশ করার জন্য লটারি এজেন্সির হাতে তুলে দিয়েছেন বলে পুলিশসূত্রে খবর। আলিপুরদুয়ার থানা পুলিশসূত্রে খবর, অভিযোগকারি যুবক সঞ্জিব ভগত প্রমাণ দিতে না পারায় লিখিতভাবে নিজের ভূল স্বীকার করেছে। অপরদিকে, লটারি টিকিটের পুরষ্কার প্রাপক ললিত ওরাও, এই যুবকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না করায় পুলিশ তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়।
আরও দেখুন