অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, বিটন চক্রবর্তী ও সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: আজ অক্ষয় তৃতীয়ায়, দিঘায় জগন্নাথধামের দ্বারোদ্ঘাটন করবেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে, গতকাল যজ্ঞে অংশ নেন তিনি। দিঘাজুড়ে এখন সাজো-সাজো রব। অন্য়দিকে, কাঁথিতে সনাতনী ধর্ম সম্মেলনের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন, পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলায় জোরালো হচ্ছে পাক-যোগ ! ‘পাকিস্তানে বসেই হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা ..’?
আজ জগন্নাথদেবের মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। তার আগে দিঘাজুড়ে সাজো সাজো রব বাহারি আলোয় রঙিন ফুলে মোড়া সৈকত-শহর। বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ায়, দিঘায় জগন্নাথধামের দ্বারোদ্ঘাটন করবেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জগন্নাথদেবের মূর্তিতে মঙ্গল-স্নানের পর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতো দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে ধ্বজা তোলা হয়। এক্কেবারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি, সেই স্থাপত্য়
সেই উচ্চতা , পুরো দিঘাকে সাজানো হয়েছে নীল-সাদা রঙের তোরণে।
প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে শুরু হয়েছে একলক্ষ বার মন্ত্রোচ্চারণ। গতকাল মহাযজ্ঞে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। পুণ্য়াহুতি দেন । বাজান কাঁসর শঙ্খ। দোলান চামর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন,’যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছি অন্তর দিয়ে। হৃদয় দিয়ে। ধর্ম তো কখনও মুখে প্রচার করে হয় না। ধর্মটা হচ্ছে হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। আমি পুজো করি সবার জন্য। মা-মাটি-মানুষের জন্য়ে। কালকে বেলা আড়াইটে থেকে অনুষ্টান শুরু হবে। এবং ৩টের সময় দ্বারোদ্ঘাটন হবে। দ্বারোদ্ঘাটনের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে পাবলিকের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’
জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন উপলক্ষ্য়ে পুরীর মন্দির থেকে এসেছেন রাজেশ দ্বৈতাপতি। দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে ইসকনের হাতে। সোমবারই অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে সঙ্গে নিয়ে দিঘায় পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল, মহাযজ্ঞে সামিল হন শিল্পপতি থেকে টালিগঞ্জের কলাকুশলীরা। অন্য়দিকে, আজ জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটনের দিনই কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর সনাতনী ধর্ম সম্মেলনের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
সর্বাধিক তিন হাজার লোক নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা যাবে, বলে নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।বিচারপতি ঘোষ বলেন, কাঁথি থানার আইসির ভূমিকা দেখে আদালত বিরক্ত। কর্মসূচিটি ধর্মীয়, নাকি ধর্মীয় ছদ্মবেশে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে সেটা দেখা আইসির কাজ নয়।পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, গোটা জেলা যেদিন উৎসবের মেজাজে থাকবে সেদিন রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে কাউকে উৎসব পালন করা থেকে বিরত রাখা যায় না।
২৫ এপ্রিল কাঁথি থানার আইসি যে কারণ দেখিয়ে সম্মেলনের আবেদন খারিজ করেছেন, তাতে ভিড় সামলানোর অক্ষমতার থেকে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব বেশি করে লক্ষ্য় করা যাচ্ছে।মাননীয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য় সরকার। দ্রুত শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করতে প্রধান বিচারপতির কাছে ইমেলে আবেদন জানানো হয়। তবে প্রধান বিচারপতি জানান, বুধবার যখন নিয়মিত বেঞ্চ বসবে তখন ফের আবেদন করবেন। বুধবারই এই সম্মেলন রয়েছে।
আরও দেখুন