Plane Crash News : আমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা (Plane Crash) চিন্তা বাড়িয়েছে সাধারণ যাত্রীদের (Air Travel) মনে। এখন অনেকেই বিমানে যাত্রার ক্ষেত্রে মানসিক ভয় পাচ্ছেন। জেনে নিন, এই নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই নিয়ে কী বলছেন STIC ট্রাভেল গ্রুপের চেয়ারম্যান
STIC ট্রাভেল গ্রুপের চেয়ারম্যান সুভাষ গোয়েলের মতে, আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার মতো দুর্ঘটনা থেকে মানসিক ভয় তৈরি হতে বাধ্য। তবে বিমান ভ্রমণ সড়ক ভ্রমণের চেয়ে হাজার গুণ নিরাপদ। সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুভাষ গোয়েল বলেন, মৃত্যু কেউ থামাতে পারবে না। যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে রাস্তা পার হওয়ার সময়ও আপনি দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।
সুভাষ গোয়েলের এই বিষয়ে কী মত ?
গোয়েল তার বক্তব্য ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমরা দেখেছি কীভাবে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, যা বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ বিমান হিসেবে বিবেচিত, বোমার মতো বিস্ফোরিত হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো কোনও ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভয়াবহ ও মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা দেখেছি কীভাবে একজন মানুষ বেঁচে গেছেন। এটি হিন্দি প্রবাদটিকে সত্য প্রমাণ করে যে ‘যাকো রাখে সাঁইয়া, মার সাকে না কোই’। যার অর্থ পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ঈশ্বরের আশীর্বাদপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কেউ ক্ষতি করতে পারে না।”
তাঁর মতে, বিমান ভ্রমণই সবচেয়ে নিরাপদ। তবে, যদি আপনার ভাগ্যে মৃত্যু লেখা থাকে, তাহলে আপনি সড়ক দুর্ঘটনায়ও মারা যেতে পারেন। তাই বিমান ভ্রমণ না করাই যুক্তিসঙ্গত।
‘এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ৬টি ব্যাটারি জেনারেটর ছিল’
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের নিরাপত্তা সম্পর্কে গোয়েল বলেন, “বিশ্বের খুব কমই এমন কোনও বিমান সংস্থা আছে যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেনি। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলিতে ৬টি ব্যাটারি জেনারেটরের সুবিধা ছিল, যা ইঞ্জিন বিকল হলে কাজে লাগত। এটা বলা সম্পূর্ণ ভুল হবে যে কোনও নির্দিষ্ট বিমান সংস্থা নিরাপদ।”
তিনি বলেন, এটাও বোঝা দরকার যে যখনই কোনও বিমান উড়তে যায় , তার প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করা হয়। এই ক্ষেত্রে পাইলটের ত্রুটির কোনও সম্ভাবনা নেই, কারণ প্রতিটি পাইলটকে ওঠার আগে মেডিক্যাল চেকআপ করা হয়। বিমানটি উড়তে শুরু করেছিল, অর্থাৎ ইঞ্জিনে কোনও সমস্যা ছিল না। তবে বিমান উড়ান ভরার পর কী হয়েছিল সে সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পরেই সমস্ত তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গোয়েল বলেছেন- যে ব্ল্যাক বক্সটি পাওয়া গেছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। “বিমান নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশনের তদন্ত দল পৌঁছেছে। বিমান চলাচলের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাও ব্রিটেন থেকে আসছেন। বোয়িং কর্মীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন। আমরা আশা করি বিশ্লেষণের পরেই ঘটনার কারণ জানা যাবে।”