আমদাবাদ: আগুন পুরোপুরি গ্রাস করার আগে প্রাণ হাতে নিয়ে ঝাঁপ। আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার নতুন ভিডিও সামনে এল। MBBS পড়ুয়াদের হস্টেল থেকে ওই ভিডিও সামনে এসেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমা ভেঙে পড়ার পর লাফিয়ে পড়ে রক্ষা পান কিছু ছাত্র। কিছু ছাত্র আবার ব্য়ালকনি থেকে চাদর ঝুলিয়ে নীচে ঝাঁপ দেন। সেই ভিডিও এই মুহূর্তে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। (Ahmedabad Plane Crash)
গত ১২ মে গুজরাতের আমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনমুখী বিমান। বিমানের ২৪১ জন যাত্রী মারা গিয়েছেন, মারা গিয়েছেন সাধারণ মানুষজনও। MBBS পড়ুয়াদের যে হস্টেলে ধাক্কা মারে বিমানটি, সেখানেও অনেকে মারা গিয়েছেন। (Ahmedabad Plane Crash Viral Video)
আর সেই আবহেই হস্টেল থেকে ডাক্তারি পড়ুয়াদের পালানোর ভিডিও সামনে এল। ২১ সেকেন্ডের ওই ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে, ব্যলকনির রেলিং থেকে বিছানার চাদর বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার ঠিক পাশে এক পড়ুয়াকে ব্যালকনি বেয়ে নীচে নামতে সাহায্য় করেন বাকিরা। যে চাদর ব্যালকনিতে বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তা ধরে ঝুলে পড়ে লাফ দেন কেউ কেউ। আবার সটান ব্যালকনি থেকেও ঝাঁপ দেন অনেকে। এক ছাত্র দোতলা থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আহত হলেও, প্রাণে বেঁচে যান বলে জানা যায় সম্প্রতি।
New video of Ahmedabad plane crash: When the plane hit the medical college hostel, the college students saved their lives by jumping from the windows.
#AhemdabadPlaneCrash pic.twitter.com/luZIoSrxbg
— Devesh , वनवासी (@Devesh81403955) June 17, 2025
ওই দিন MBBS পড়ুয়াদের হস্টেলে বিমানটি ধাক্কা মারার পর, আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা বিল্ডিং। সেই সময় বিল্ডিংয়ের উপরের তলায় অনেক পড়ুয়া ছিলেন। পালানোর আর কোনও রাস্তা না পেয়ে ব্যালকনিতে এসে জড়ো হন অনেকে। চাদর বেঁধে ঝুলে পড়ে, সেখান থেকে লাফিয়ে পড়েই কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তাতেও দেখা গিয়েছে, একপাশে আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলছে, কালো ধোঁয়া উড়ছে, আর অন্য দিকে পড়ুয়ারা বাঁচার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। যে সময় দুর্ঘটনা ঘটে, সেই সময় ক্যান্টিনে খেতে গিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিতে মোট ২৪২ জন সওয়ার ছিলেন, তাঁদের মধ্যে বিশ্বাসকুমার রমেশ নামের একজনই প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। লন্ডন নিবাসী বিশ্বাসকুমার রমেশ 11A আসনে সওয়ার ছিলেন। দুর্ঘটনার পর হেঁটে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় তাঁকে। হেঁটেই ওঠেন অ্যাম্বুল্যান্সে। রমেশের দাদা যদিও প্রাণ হারান। কী করে বেঁচে ফিরলেন, এখনও বুঝতে পারছেন না তিনি।