NOW READING:
দোকানে মাকে খাবার দিতে এসেছিল ছেলে,বিমান দুর্ঘটনার বলি সে-ও; আগুনে ঝাঁপ দিয়েও বাঁচাতে ব্যর্থ মা
June 13, 2025

দোকানে মাকে খাবার দিতে এসেছিল ছেলে,বিমান দুর্ঘটনার বলি সে-ও; আগুনে ঝাঁপ দিয়েও বাঁচাতে ব্যর্থ মা

দোকানে মাকে খাবার দিতে এসেছিল ছেলে,বিমান দুর্ঘটনার বলি সে-ও; আগুনে ঝাঁপ দিয়েও বাঁচাতে ব্যর্থ মা
Listen to this article


নয়াদিল্লি: দেশের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে অন্য়তম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা আমদাবাদে। যেখানে এক নিমেষে শেষ হয়ে গিয়েছে শত শত প্রাণ। ঝুপড়িতে ভেঙে পড়েছিল বিমান। নিজের ছেলে বাঁচাতে বিধ্বংসী আগুনের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গেছেন মা। কিন্তু কোথায় সন্তান ?!  পিছনে তাঁকিয়ে সামনের দিকে উদভ্রান্তের মতো দৌড়চ্ছেন। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। আমদাবাদে দুর্ঘটনাস্থলেই ছিল তাঁদের চায়ের দোকান। শুধু কয়েক মুহূর্তের এদিক ওদিক। না হলে আজ শুক্রবারের সকালটাও দেখার কথা ছিল বছর ১৫-র আকাশের ! কিন্তু তা শেষ অবধি সম্ভব হয়নি।  আমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার বিস্ফোরণের আগুনে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। 

আরও পড়ুন, বিমান দুর্ঘটনায় পোড়া-ঝলসানো দেহ, ‘প্রিয় জন’কে চেনার উপায় নেই, চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে DNA ভেরিফিকেশনের অপেক্ষায় স্বজনহারারা

আমদাবাদের ওই দুর্ঘটনাস্থলেই চায়ের দোকান চালাতেন সীতা পাটানি। দুর্ঘটনার ঠিক আগে মাকে টিফিন দিতে এসেছিল আকাশ পাটানি। মা গিয়েছিল একটু দূরে যেখানে বসেছিল ১৫ বছরের আকাশ, সেখানেই ভেঙে পড়ে বিমান। এদিকে দুর্ঘটনার পর, সন্তানের খোঁজে মা ছুটতে থাকেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আগুনের গোলার মাঝেই পড়ে যায় সীতা পাটানির ছেলে আকাশ। নিজের সন্তানকে বাঁচাতে আগুনে ঝাপিয়ে পড়েন মা। চিৎকার করেন। দৌঁড়তে থাকেন। হাত জোড় করেন সাহায্যর জন্য। তাঁর কাতর আবেদন শুনে যখন স্থানীয় মানুষরা আসে, তখন মৃত্যু হয়েছে আকাশের। আগুনের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে সীতা পাটানির। আমদাবাদের হাসপাতালে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সন্তানের মৃত্যুর খবর এখনও জানানো হয়নি সীতাকে।

 



Source link