নয়াদিল্লি: ঠিক কী কারণে ভেঙে পড়ল আজ এই যাত্রীবাহী বিমান ? প্রশ্নের বন্যা চারিদিকে। ইতিমধ্যেই নানা কিছু আশঙ্কা করা হয়েছে। তবে প্রকৃত কারণ বলে দেবে Black Box. এই ব্ল্যাক বক্সের উপরে ভিত্তি করেই এগোবে তদন্ত। কারণ যাবতীয় রহস্য লুকিয়ে আছে ওই যন্ত্রটিতেই। এবার কথা হচ্ছে এই ব্ল্যাক বক্স আদতে কী ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন, বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা TATA গ্রুপের, ক্ষতিগ্রস্ত হস্টেলের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি
নামে Black Box হলেও, দেখতে মোটেই শ্যামলা নয়, বরং কমলা বর্ণ। তবে সাধ করে ডিভাইসের এই রঙ মোটেই রাখা হয়নি। এর পিছনেও আছে বিজ্ঞান। মূলত দুর্ঘটনা হলে, যাতে দ্রুত এটি খুঁজে পাওয়া যায়। এটিকে মূলত বলা হয় ফ্লাইট রেকর্ডার। যা কিনা মূলত ককপিটের যাবতীয় অডিও রেকর্ড করে রাখে। এবং বিমানের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জমা রাখে। আর এর উপর ভিত্তি করেই ফরেন্সিক টিম দুর্ঘটনার কারণের উৎস খুঁজে পায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পাইলটের ভূল কিংবা অন্য কারও দ্বারা ভূল নাকি যান্ত্রিক ত্রুটি কোনটা দায়ী ? সব বলে দেবে এই Black Box. এই ডিভিইসের কাজই হল দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানের যাবতীয় রহস্য উন্মোচন করা।
Black Box মূলত বিমানের পিছন দিক বা লেজের অংশে থাকে। এটি বিমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। এই যন্ত্র দুর্ঘটনার সময় ঠিক কী সিচ্যুয়েশন বিমানের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, গোটা ঘটনার পুননির্মান করে ফেলে এই ডিভাইস। এবার আসা যাক, ককপিটের অডিও রেকর্ড বলতে ঠিক কী কী রেকর্ড করে এই ডিভাইস ? ককপিটে পাইলটের কথোপকথন, ইঞ্জিনের নয়েজ এবং রেডিও মাধ্যমে কী কী বার্তা গিয়েছে, তার যাবতীয় হালহদিশ দিয়ে দেয় এই ব্ল্যাক বক্স। কারণ তদন্তকারীরা সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখে ইঞ্জিন নয়েজকেই। ইঞ্জিন নয়েজ থেকেই বুঝে নেওয়া হয়, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে কতটা স্পিডে চলছিল ইঞ্জিন, ঠিক কোন কোন সিস্টেমগুলি ফেল করে গিয়েছিল ? কী কী সতর্কবার্তা ছিল, তাও জরিপ করে নেয় এই ফ্লাইট রেকর্ডার।
এবার ব্ল্যাক বক্স নিয়ে ধারণটায় আরও একটু ধার দিয়ে নেওয়া যাক। তাতে এর মেকানিজমের (Mechanism) ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ব্ল্যাক বক্স মূলত দুটি প্রধান বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয়। একটি হল CVR এবং অপরটি FDR । CVR হল ককপিট ভয়েজ রেকর্ডার (Cockpit Voice Recorder)। যার কাজ মূলত অন্তিম দুই ঘন্টার ককপিটের যাবতীয় আওয়াজ কথোপকথন এবং সতর্কবার্তার জন্য অ্যালামের সাউন্ড রেকর্ড করে রাখা। FDR অর্থাৎ ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার (Flight Data Recorder). এর কাজ হল বিমানের ২৫ ঘণ্টার যাবতীয় তথ্য উচ্চতাগত তথ্য, স্পিড এবং বিমানের ইঞ্জিন পারফর্মেন্স রেকর্ড করে রাখা।