নয়াদিল্লি: আমেদাবাদে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল। ভারতের বুকে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান বিপর্যয় গুজরাতের আমদাবাদে টেক অফের মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার।জনবহুল এলাকায় একটি মেডিক্যাল কলেজ ও হস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে বিমানটি। এরপরই উদ্ধারকাজে ঝাপিয়ে পড়ে সবাই। উদ্ধারকাজে নামে সেনাবাহিনী। প্রায় ১৩০ জন জওয়ান ধ্বংসাবশেষ সরাতে শুরু করেন। বেরিয়ে আসতে শুরু করে একের পর এক জ্বলন্ত দেহ। এদিকে এখনও কোনও ‘নিশ্চিত খবর’ না পেয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছে Crew মেম্বার দীপক পাঠকের পরিবার।
আরও পড়ুন, বিমান দুর্ঘটনায় ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি, ‘তিনিই ছিলেন ফার্স্ট অফিসার..’
দীপকের দিদি জানিয়েছেন, না এখনও কোনও খবর পাইনি। টিভির খবরের উপরেই ভিত্তি করে আছি। আমাদের কিছু নিশ্চিত করে বললেই তখন কিছু বলব। ও আমাদের ভাই। দেখতে পাচ্ছি না কোথাও। তাই কষ্ট পাচ্ছি খুব। যত জায়গায় আমাদের সোর্স আছে, কথা বলছি। সকলেই সাহায্য করার চেষ্টা করছে। দুর্ঘটনার খবর কোথা থেকে পেলেন ? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, নিউজ থেকেই পেয়েছি। সকালে ভাই ফোন করেছিল মাকে। যে আমেদাবাদের ওই ফ্লাইটে করেই যাচ্ছে। এদিকে খবর দেখার পর, মা বলে এই বিমানেই তো দীপক ছিল।এরপরেই আমরা ফোন করি। আমাদের একমাত্র ভাই। আমাদের ভাই পড়াশোনায় খুবই ভাল ছিল। রাত জেগে পড়াশোনা করত। এখনও যত পরীক্ষাই দিত A গ্রেডই পেতে সে। ওর ব্রেণটাই আলাদা ছিল।’
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। স্বজনহারাদের পাশে আছি। নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আছে গোটা দেশ। সবার প্রথমে ভারত সরকার, প্রধানমন্ত্রী, গুজরাত সরকারের তরফে, যারা হতাহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। দুর্ঘটনার খবর পেতেই আমি সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ভারত সরকার ও গুজরাত সরকার একসঙ্গে উদ্ধারকার্যে নেমেছে। বিস্ফোরণের ফলে তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, যে কাউকে বাঁচানোর সুযোগটুকুই মেলেনি। আমি দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রায় সমস্ত নিহত যাত্রীদের দেহই উদ্ধারের কাজ শেষ হয়ে এসেছে।’
শুক্রবার সকাল আটটায় আমদাবাদে পৌঁছবেন নরেন্দ্র মোদি। দেশের ইতিহাসে অন্য়তম বড় বিমান দুর্ঘটনা। NDRF-এর পাশাপাশি একযোগে উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনাবাহিনী, CRPF, NDRF. দুর্ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও RPF-কে পাঠিয়েছে পশ্চিম রেলও।সেনার পাশাপাশি উদ্ধার কাজে নামে NDRF-এর তিনটি দল, এবং CRPF। অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নাইডু বলেন, ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, NDRF, রাজ্য পুলিশ, চিকিৎসকরা এবং বিমান পরিবহণের সবাই তাঁদের সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও RPF-কে পাঠায় পশ্চিম রেলও।