<p><strong>কলকাতা:</strong> গুজরাতে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। উড়ানের পরেই আমদাবাদে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমান। বিমানবন্দরের বাইরে আমদাবাদের মেঘানিনগরে জনবসতির উপর ভাঙল ড্রিমলাইনার। ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু-র মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝলসে গিয়েছে আশপাশের বেশ কিছু বহুতল। কিন্তু কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল? বিমানবন্দরের আশেপাশের বহুতল এবং ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকাই বা কতটা সুরক্ষিত? </p>
<figure class="image"><img style="width: 252px; height: 142px;" src="https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2025/06/12/61280147c640c248eb17ede1650e0406174972401517951_original.jpeg" alt="ক্যাপ্টেন সুমন্ত্র রায়চৌধুরী
পাইলট, এয়ার ইন্ডিয়া" />
<figcaption>ক্যাপ্টেন সুমন্ত্র রায়চৌধুরী পাইলট, এয়ার ইন্ডিয়া</figcaption>
</figure>
<p>বৃহস্পতিবার বেলা ১.১৭ মিনিটে আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করেছিল বিমান। বিমানে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ১ জন নাগরিক, ৭ জন পর্তুগালের। মাটি থেকে মাত্র ৬২৫ ফুট উপরে উঠেছিল। তারপরই ভেঙে পড়ে এই বিমান। বিমান ভেঙে পড়ার আগে ATC-কে ‘মে-ডে’ বার্তা পাঠান পাইলট। কিন্তু ATC প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগেই সব শেষ। এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট সুমন্ত্র রায়চৌধুরী বলেন, কী কারণে বিমান ভেঙে পড়ল তার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। সাধারণভাবে এইরকন ঘটনা উড়ানের সময় ঘটে না। প্ল্যানের সঙ্গে বিল্ডিংয়ের ঘষা লেগে আওয়াজ হতে পারে, ডাবল ইঞ্জিন ফেলিওর হতে পারে, কন্ট্রোল ফেলিওর হতে পারে। স্টলও করতে পারে। তবে সাধারণভাবে সেটা হয় না, কারণ এরা দক্ষ পাইলট। আমার অনুমান ডবল ইঞ্জিন ফেলিওর হতে পারে। এক্ষেত্রে সামনে জায়গা থাকলে সেখানে ক্র্যাশ করে। বহুতল থাকায় পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না অবতরণ বা ঘোরানোর। অথবা মেকানিক্যাল ফেলিওর হতে পারে। ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণ করলেই বিস্তারিত তথ্য অর্থাৎ কী কারণে বিমান ভেঙে পড়ল তা জানা যাবে। </p>
<p>বিমানবন্দর ঘিরে একের পর এক বহুতল। বিপুল জনবসতি এলাকার মধ্যে গিয়ে এদিন ক্র্যাশ করে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭। আর বিমানবন্দরের আশেপাশে থাকা এই বহুতল যে কতটা বিপজ্জনক তা এদিন সামনে এল। এপ্রসঙ্গে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন সুমন্ত্র রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, "এয়ারপোর্ট ঘিরে বড় বড় বহুতল ওঠে। কোনও পুরসভা তখন কোনও কথা শোনে না। কলকাতা বিমানবন্দরের আশেপাশেও অনেক বহুতল রয়েছে। আশঙ্কা হচ্ছে নিউটাউনের কোথাও গিয়ে ভেঙে পড়তে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু হবে না। এয়ারপোর্টের আশেপাশে বহুতল ভেঙে ফেলা উচিত। কোনও নতুন বিল্ডিং তৈরির অনুমতিও দেওয়া উচিত নয়। সেটা কলকাতার ক্ষেত্রে মধ্যমগ্রাম-বারাসাত হতে পারে বা নিউটাউন-রাজারহাট হতে পারে। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে বাঁচানো সম্ভব নয়। এই ঘটনা কলকাতায় ঘটলে আকাশে তো মারা যাবেন, নিচেও যে কতজন মারা যাবেন তা কল্পনার বাইরে।” </p>
Source link
বিমানবন্দরের আশেপাশে বহুতল বিপজ্জনক, বিমান দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে কী বলছেন বিশেষজ্ঞ
