কলকাতা: তৃণমূলে রদবদল ঠিক সময়ে হবে। জানিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, দলের জন্য যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের কোনও চিন্তা নেই। সূত্রের খবর, এর আগে দলের জেলা সভাপতি ও পুরসভার চেয়ারম্যান পদে একাধিক রদবদলের প্রস্তাব দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই রদবদল নিয়ে জল্পনাকে গুরুত্ব দিতে চায়নি বিরোধীরা।
তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদলের প্রশ্নে নিজের অবস্থানে অনড় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বৃহস্পতিবার ফের একবার সেকথা বুঝিয়ে দিলেন তিনি। গতবছর ২১ জুলাই প্রথম অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মুখে শোনা গেছিল সাংগঠনিক রদবদলের কথা। তিনি বলেছিলেন, “পুরসভার নির্বাচনে, আমি পুরসভার কাউন্সিলরের টিকিট পাব, আমার ওয়ার্ড থেকে আমি জিতব, আর লোকসভা, বিধানসভায় দল প্রত্য়াশিত আর আশানুরূপ ফল করবে না। আপনার বিরুদ্ধে দল ব্য়বস্থা নেবে। যত বড় নেতার ছত্রছায়ায় আপনি থাকুন। আগামী তিনমাসের মধ্য়ে তার ফল আপনারা দেখবেন।”
সূত্রের দাবি, মাস দুয়েক আগে, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কাছে দলীয় স্তরে বদলের সুপারিশ পাঠান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। গতবছরের লোকসভা ভোটে দলের জেলা সভাপতিদের ভূমিকা ও পারফরম্যান্স রিপোর্ট আকারে দলনেত্রীর কাছে পাঠান তিনি। যেখানে ১০-এর বেশি জেলা সভাপতি বদলের সুপারিশ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সূত্রের খবর, পুরসভা স্তরেও দলীয় সংগঠনে রদবদলের সুপারিশ করেন তিনি। তবে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির শেষ বৈঠকে, বিভিন্ন কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ এবং অনুগত বলে পরিচিত প্রবীণ তৃণমূল নেতারা। বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকেও তৃণমূলনেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলের রাশ তাঁর হাতেই। যার জেরে প্রশ্ন উঠছিল, সাংগঠনিক রদবদল কি বিশবাঁও জলে?
এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার ফের অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মুখে শোনা গেল সেই সাংগঠনিক রদবদলের কথা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যারা দলের জন্য কাজ করেছেন তাদের চিন্তা করার দরকার নেই। গাছ তোমার নাম কী, ফলেই পরিচয়। আম গাছে যদি আম ঝোলে তাহলে আমগাছ। জাম গাছে জাম ঝুললে জাম গাছ। আর কলা গাছে কলা বেরোলে কলাগাছ। আমি কত পরীক্ষিত, কত দক্ষ, কত রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ রেজাল্ট দেখলেই তো বোঝা যাবে। তার পর্যালোচনা প্রসেস শুরু হয়ে গেছে। আমি আমার মতো সেটা করে দলনেত্রীর কাছে জমা দিয়েছি। যখন হবে আপনারা সেটা দেখতে পাবেন।”
যদিও, এনিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য় সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ভাইপো একটু দুঃখ পেয়েছে। মোদ্দা কথা তোলার টাকা ঠিকমতো করে কে দিতে পারবে আর কে দিতে পারবে না তার লিস্ট করা আছে। কিন্তু সেই লিস্ট এখনও পাস হয়ে আসেনি। ৩ মাসের জায়গায় ৫ মাস হয়ে গেল। হুমায়ুন কবীর যতই বলুক না কেন উনি এখনও পুলিশমন্ত্রীও হননি, আর ডেপুটি চিফ মিনিস্টারও হননি।”
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Fake Passport: সর্ষের মধ্যেই ভূত? পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে পুলিশের স্ক্য়ানারে পুলিশ
আরও দেখুন