জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফেব্রুয়ারিতেই ওড়িশা কলিঙ্গ ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি নেপালি ছাত্রীর আত্মহত্যায় তোলপাড় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জানা যায়, বহুদিন ধরে তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র তাঁকে উত্যক্ত করত। তার জেরেই পডুয়া আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ। দুমাস কাটতে না কাটতে ফের আর এক নেপালি ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় KIIT-র হস্টেল থেকে ছাত্রীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রী প্রথম বর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স বি.টেক পড়ুয়া। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বীরগঞ্জের বাসিন্দা ওই ছাত্রী। ইনস্টিটিউটের গার্লস হস্টেলের ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে।
রাত ৮টায় পুলিস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে ঘটনার খবর যায়। তারপর ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম পাঠানো হয়। ভুবনেশ্বর-কটকের পুলিস কমিশনার সুরেশ দেব দত্ত সিং মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন যে ময়নাতদন্তের ফলাফল না আসা পর্যন্ত বিষয়টি সন্দেহজনক আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:Madhyamik Result 2025 Topper: একাই প্রথম! কোন নিয়মে পড়াশোনা করে সাফল্যের শিখরে অদৃত? কী বলছে ফার্স্টবয়…
আরও পড়ুন:Snake found in mid-day meal: মিড ডে মিলে মরা সাপ, খেতে না চাওয়ায় জোর করা হয়! গুরুতর অবস্থায় ১০০-রও বেশি শিশু…
প্রসঙ্গত, ১৬ ফেব্রুয়ারি বিটেক কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ পাওয়া যায়। দেহ উদ্ধারের পর থেকেই একটি ছেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। ওই ছেলেটির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন মৃত পড়ুয়ার এক তুতো ভাই। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ছেলেটি মৃত পড়ুয়াকে বিরক্ত করছিল। ক্রমাগত চলছিল ‘ব্ল্যাকমেইল’করা। তার ফলেই সে এই চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
দেহ উদ্ধারের পরই উত্তাল হয়ে ওঠে ওড়িশার ‘KIIT’। এবার এই ঘটনার পর কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে ইন্সটিটিউটে। এই ঘটনার তদন্তে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাচ্ছে না।
আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ…
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭