জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মর্মান্তিক ঘটনা! আবারও অতুল কাণ্ডের ছায়া দেশে! আর এবার দেশের দক্ষিণে।
গার্হস্থ্য হিংসা, অন্যায় খোরপোষ দাবি, গায়ে হাত তোলা এবং মারার হুমকি- পুরুষদের প্রতি এই ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ ক্রমশ বাড়ছে। এবার তার শিকার তেলুগু চলচ্চিত্র জগতের ৩৫ বছরের একজন ক্যামেরাপারসন। জুবিলি হিলসের কৃষ্ণ নগরে তার বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে তাঁকে।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News
পুলিসের কাছে তাঁর মা অভিযোগ জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী মোহাম্মদ নওয়াজের স্ত্রী ক্রমাগত হয়রানি করে যাচ্ছিলেন তাঁকে। আর্থিক দাবি, আইনি পদক্ষেপের হুমকি এবং খেতে না দেওয়ার অত্যাচার সহ আরও অনেক কিছু। অভিযোগে আরও দাবি করা হয়েছে যে বাইরে থেকে গুন্ডা পাঠানো হয়েছিল তাঁর ছেলেকে মারার জন্য।এই কাজে সম্পুর্ণ জড়িত ছিল মোহাম্মদ নওয়াজের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: গাড়ির ধাক্কায় মহিলা-সহ তিন জনকে পিষে মত্ত বীরপুঙ্গবের গর্জন, ‘আর এক রাউন্ড,নিকিতা?’
মায়ের সঙ্গে তাঁর শেষ কথোপকথনে নওয়াজ জানান তিনি আর কষ্ট সহ্য করতে পারছিলেন না। বলেছিলেন: ‘আমি এভাবে বাঁচতে পারব না… আমার স্ত্রী হয়তো আমাকে মেরে ফেলবে।’
জুবিলি হিলস পুলিশ স্টেশনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, নওয়াজকে তার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে, কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।
নওয়াজ এবং শ্বেতা ২০২০ সাল থেকে বিবাহিত ছিলেন, কিন্তু সবসময় অশান্তি বিবাদের কারণে তাদের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল বলে জানা গেছে। এই ঘটনার আগে,শ্বেতা, নওয়াজের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তখন পুলিসি হস্তক্ষেপ হয় এবং মনোবিদের সাহায্য নিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ভুজিয়া কোম্পানির নাম ‘চু*য়ারাম’! কী করে পায় রেজিস্ট্রেশন? তুলকালাম…
পুলিসের কাছে দাবি করা হচ্ছে যে শ্বেতা ৩০ লক্ষ টাকা এবং নওয়াজের পারিবারিক সম্পত্তির অংশ দাবি করেছিলেন। পুলিশ এখনও এই অভিযোগগুলি তদন্ত করছে।
পুলিশ অভিযুক্ত শ্বেতা রেড্ডি থাডাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং সঠিক পথে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও প্রমাণ সংগ্রহ করছে।