কলকাতা : মাধ্যমিকে প্রথম রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের ছাত্র আদৃত সরকার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬। শতাংশের বিচারে ৯৯.৪৩ শতাংশ। মেধা তালিকায় প্রথম ১০-এ এবার জায়গা করে নিয়েছে ৬৬ জন।
রাজ্যে প্রথম হয়ে উচ্ছ্বসিত আদৃত। তবে, এই ফলাফল অপ্রত্যাশিত বলে জানিয়েছে আদৃত। আদৃতর কথায়, “খুবই অপ্রত্যাশিত অনুভূতি ছিল। ভেবেছিলাম, হয়ত এক থেকে দশের মধ্যে ব়্যাঙ্ক করব। প্রথম হয়ে যাব রাজ্যে, সেটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। অভাবনীয় অনুভূতি। মা-বাবার স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। ক্লাস ইলেভেনের পড়াশোনা শুরু হয়ে গেছে। অন্য সাবজেক্টের তুলনায় বায়োলজি পড়তে বেশি ভাল লাগে। ভবিষ্যতে ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা রয়েছে। তবে, ইলেভেন-টুয়েলভে পড়ার সময় যদি অন্য কোনও আগ্রহ বাড়ে, সেদিকে যাব।”
ডাক্তারি পড়ার ব্যাপারে কী বলছেন বাবা-মা ?
আদৃত বলে, “তাঁদের ছোটবেলা থেকে এটাই ইচ্ছা। আমারও তা-ই ইচ্ছা।”
রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলে প্রত্যেক বছর ভাল ফল হয়। টিপস অ্যান্ড ট্রিকস কী ?
আদৃতর বক্তব্য, “আমাদের হেড স্যার থেকে শুরু করে প্রত্যেক টিচিং স্টাফ… ক্লাস ফাইভ থেকে এই স্কুলে পড়ছি, তখন থেকেই শিক্ষকরা আমাকে অ্যাকাডেমিক এবং মেন্টাল সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। সারাবছর সহযোগিতা করে গেছেন। বাঁধাধরা কোনও শিডিউল অনুসরণ করতে হবে বলে মনে করি না। যতটুকু ইচ্ছা হবে ততটুকু পড়তে হবে। পড়তে হবে বাবা-মা-দের, শিক্ষকদের কথা মেনে চলতে হবে। বাড়ি থেকে কখনোই চাপ দেওয়া হত না।”
মোটামুটি কত ঘণ্টা পড়তে ? কীভাবে সময়টা ভাগ করে নিয়েছিলে ?
আদৃত জানায়, বিষয়-ভিত্তিক সেভাবে ভাগ করেনি সে। যেহেতু মাধ্যমিকে বছর ছিল তাই ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা করে পড়েছে। তবে, যখন যেটা ইচ্ছা হত তখন সেটা পড়ত আদৃত।
স্কুলের বইপত্র ছাড়া রেফারেন্স বই পড়ার কী খুব দরকার পড়ে ?
এ প্রসঙ্গে আদৃত বলছে, “প্রথমত, টেক্সট বই খুব খুঁটিয়ে পড়তে হবে। কারণ, টেক্সট বই থেকেই প্রশ্ন হয়। এবার মাধ্যমেকি যে ট্রেন্ডটা দেখা গেল তা হল, বাঁধাধরা টেক্সট বইয়ের লাইন তুলে দিয়ে প্রশ্ন। অঙ্কের ক্ষেত্রে বেশ স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন হয়েছে। সেক্ষেত্রে একটু কনসেপচুয়ালি পড়তে হবে। “
এবার মাধ্যমিকে (Madhyamik Result 2025) পাসের হার ৮৬.৫৬%। মাধ্যমিকে পাসের হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর, দ্বিতীয় কালিম্পং, তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা, চতুর্থ পশ্চিম মেদিনীপুর।
আরও দেখুন