কলকাতা : আশার ছবি ভেঙে চুরমার। চাকরি বাতিলের খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন চাকরিজীবিরা। এই রায়ে অথৈ জলে পড়েছেন চাকরি প্রাপকরা। এদের মধ্যে অনেকেই সরকারি দফতরে চাকরি করা সত্ত্বেও ২০১৬-র SSC পরীক্ষায় বসেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তাঁরাও দিশাহারা। ২০১৬ সালের SSC-র পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর এনিয়ে এবার রাজ্য রাজনীতিতে চড়ছে পারদ। এত সংখ্যক চাকরি বাতিলের জন্য রাজ্য সরকারকে নিশানা করে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
বিরোধী দলনেতা বলেন, “একটাই দাবি। দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ । শুধু পদত্যাগ নয়, আমরা আশাবাদী, আজ যে ভাষায় প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ইটস আ ক্রাইম, অর্গানাইজড বাই দ্য অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। দ্যাট মিনস গভর্নমেন্ট। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটও যাতে জেলে যায়…। আমরা আশাবাদী, এই ২৬ হাজার যুবক-যুবতী বিনা দোষে …কারো যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যেভাবে আজ তাঁরা পথে বসলেন, তাঁদের পথে যিনি বসালেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ক্যাবিনেটের জেল চাই। গ্রেফতারি চাই। এটাই বাংলার আওয়াজ। বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা বহু জায়গায় ইতিমধ্যে আন্দেোলন শুরু করেছেন। আগামীকালও রাজ্যজুড়ে সর্বত্র …জনগণের বিশেষ অসুবিধা না করে আন্দোলন হবে। আন্দোলনের তীব্রতা বাড়বে। যাঁদের চাকরি গেছে, তাঁদের সঙ্গে নাকি উনি ৭ তারিখে কথা বলবেন। কী কথা বলবেন ? আমি তাঁদের বলব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কথা আপনাদের বলবেন। তাঁর বলার কী আছে ? যা সর্বনাশ করার তিনি করেছেন।”
২০১৬ সালের SSC-র পুরো প্যানেলই এদিন বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি বাতিল করেছে সর্বোচ্চ আদালত। শুধুমাত্র ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি বহাল থাকল। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) গত বছরের রায় বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, যাঁরা অন্য সরকারি দফতর থেকে এই চাকরিতে এসেছিলেন তাঁরা ৩ মাসের মধ্যে পুরনো জায়গায় যোগদান করতে পারবেন। ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাস ছাড়া বাকি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা কাজ করতে পারবেন না। তবে তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানাল, ফৌজদারি মামলার ওপর এর প্রভাব পড়বে না।
আরও দেখুন