NOW READING:
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বর্ধমানের দোকানে, গলগল করে কালো ধোঁয়া ঢুকল পাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে !
March 28, 2025

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বর্ধমানের দোকানে, গলগল করে কালো ধোঁয়া ঢুকল পাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে !

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বর্ধমানের দোকানে, গলগল করে কালো ধোঁয়া ঢুকল পাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে !
Listen to this article


মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে সাইকেলের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। বেআইনিভাবে গ্যাস রিফলিং এর অভিযোগ। পুড়ে ছাই পাশের গোলদারি দোকানও।  কালো ধোঁয়ায় ঢাকল পাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। আতঙ্কে স্বাস্থ্য কেন্দ্রতে ঘন্টা দুয়েক বন্ধ থাকল পরিষেবা , আতঙ্কে চিকিৎসক থেকে রোগীরা। পুড়ে গেল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুটি সিসিটিভি ক্যামেরাও।

আগুনের লেলিহান শিখায় বন্ধ হয়ে যায় দুর্গাপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উইলিয়াম কেরি এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল। আতঙ্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এলাকা।ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকলের দুটি ইঞ্জিন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ন’টা ৩০নাগাদ রঞ্জিত খাঁ  নামের এলাকার একটি সাইকেলের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ ফেটে যায়, তারপর ব্লাস্ট করে। নিমেষের  মধ্যে আগুন ছড়িয়ে যায় সাইকেল মেরামতের দোকানে। আগুনের লেলিহান শিখায় ভষ্মীভূত হয় পাশের একটি গোলদারীর দোকানও।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুরের দমকলের একটি ইঞ্জিন। পরে আরো একটি ইঞ্জিন পৌঁছায়। এক ঘন্টা ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। গোলদারী দোকানের মালিক মিলন মণ্ডলের দাবি,’সাইকেলের দোকানে বড় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ছোট গ্যাস সিলিন্ডারে রিফলিং করা হয়। আজ সকালে একটি সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। সাইকেলের দোকান তো ভস্মীভূত হয়েছে। সাথে আমার গোলদারী দোকানের একাংশ ভস্মীভূত হয়েছে। আমরা একাধিকবার এই কারবার বন্ধের কথা জানিয়েছিলাম ওনাকে। কিন্তু কোনও কর্ণপাত করেননি। অবৈধভাবে এই কারবারে জেরেই আমাদের ব্যবসারও চরম ক্ষতি হল।’

আরও পড়ুন, অক্সফোর্ডকাণ্ডের মধ্যেই সুর চড়িয়ে পথে নামল DYFI

সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক চিকিৎসক নির্মল্যদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’আমরা সাড়ে নটায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসেছি। এসে দেখি অগ্নিকাণ্ডের জেরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রও বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকেছে। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয় অনেক প্রসূতি মহিলা এবং শিশুরা এসেছিল চিকিৎসা করাতে। তাদেরকেও ফিরে যেতে হয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।’

সম্প্রতি প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বাড়িতে আগুন লেগেছিল। অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন ওই বাড়িরই ২২-২৩বছরের তরুণ। গুরুতর জখম তরুণকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল MR বাঙুর হাসপাতালে। এদিকে এই ঘটনায় একাধিক অভিযোগ তুলছিলেন স্থানীয়রা। গত কয়েক বছরে কলকাতায় একাধিক জায়গায় বার বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। গত কয়েকমাসের একাধিক অগ্নিকাণ্ডের পিছনে দায়ী ছিল এসি। কোথাও আবার গ্যাসের সিলিন্ডার।তবে বড়বাজারে মেহতা বিল্ডিংয়ের ওই এলাকায় আকাশ ছেয়েছে কালো তারে। শর্ট সার্কিটের জন্যও আগুন লাগার ভুরিভুরি ঘটানার উদাহরণ বহন করে চলেছে এই কলকাতা। কিন্তু কেন বারবার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে ? দায়ী কে ? অগ্নিদাহ্য বস্তুগুলি নিয়ে কি দায়িত্বশীল নয় কেউ ? আগুন লাগলে কি আদৌ বেরিয়ে আসার রাস্তা থাকছে ? ফের নগরবসারীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এল।

আরও দেখুন



Source link