কলকাতা : টালা থানাতেই ধর্ষণ-খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাটে ভুয়ো নথি তৈরির ছক ? টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জেরা করে বিস্ফোরক দাবি CBI-এর। রহস্য লুকিয়ে রয়েছে থানার CC ফুটেজেই ? ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। টালা থানাতেই তথ্য-প্রমাণে গরমিল করা হয়েছে। মিথ্যে কিছু তথ্য যুক্ত করা হয়েছে বা বদল করা হয়েছে।’ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রিমান্ড লেটারে এমনই দাবি করল CBI। কেন জেল হেফাজতের আবেদন ? মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট সিবিআইয়ের। এদিন খারিজ হয়ে যায় জামিনের আর্জি, ফের জেল হেফাজতে পাঠানো হয় সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও ধৃত ওসির জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।
আজ আদালতে সিবিআই যে রিমান্ড জমা দিয়েছে তার চার নম্বর পয়েন্টে পরিষ্কার বলা হয়েছে, হেফাজতে থাকাকালীন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে জেরা করে তাঁরা নতুন তথ্য পেয়েছেন। সেই অনুযায়ী তারা বলছে, মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করা হয়েছে বা বদল করা হয়েছে থানার মধ্যেই। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ৫ নম্বর পয়েন্টে উল্লেখ করেছেন, টালা থানার ফুটেজের সিএইএসএলের রিপোর্ট আসা বাকি আছে। সেই রিপোর্ট এলে তাঁরা ফের এই দুই জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান।
সিবিআইয়ের তরফ থেকে এর আগে বেশ কিছু সন্দেহভাজন নম্বরের কথা বলা হয়েছে। সেই নম্বরের বিষয় নিয়েও আজ রিমান্ডের মাধ্যমে তারা জানিয়েছে, এই দুই জনের মোবাইল ফোনের সম্পূর্ণ তথ্য তাঁরা জানতে চান। বেশ কিছু মোবাইলে তাঁদের কথা হয়েছে। সেই নিয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, তাঁদের হাতে জাদুকাঠি নেই। তাঁরা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ করছেন। বেশ কিছু ডিজিটাল নমুনা সংগ্রহ করছেন। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে আশা করছেন।
তবে ‘নতুন কোনও অভিযোগ আনতে পারেনি সিবিআই। অন ডিউটি থেকে কাজ করেছি, সাক্ষী হিসেবে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছি।’ শিয়ালদা কোর্টে জামিনের আবেদন করে পাল্টা এমনই দাবি ধৃত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের। অন্যদিকে শিয়ালদা কোর্টে আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের তরফে সওয়াল করা হয়, ‘প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে টালা থানার ওসিকে ফোনে জানানো আমার কাজ। কিন্তু যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রের কিছু পায়নি সিবিআই।’
আরও দেখুন