জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রামন্দিরে সাফাই কর্মী ছিলেন অযোধ্যার এক কলেজ ছাত্রী। তারও রেহাই নেই। ওই ছাত্রীকে গণ ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার অযোধ্যায় গ্রেফতার করা হল ৮ জনকে। নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিচিত এক যুবক ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম বংশ চৌধুরি। বাড়ি অযোধ্য়ার সাহাদতগঞ্জে।
আরও পড়ুন-‘আইনের আদালতের পর জনতার আদালত আমায় ন্যায় দিক’, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল
কীভাবে ঘটল এতবড় ঘটনা? পুলিসকে নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছেন, বংশ তাকে বলে জেলায় একটি ভালো জায়গায় তাকে বেড়াতে নিয়ে যাবে। ও আমাকে একটি গেস্টহাউসে নিয়ে যায়। সেখানেই বংশ ও তার দুই বন্ধু মিলে আমাকে গণধর্ষণ করে। তারপর আরও তিনজনকে ডাকে। অযোধ্যার একটি কলেজের বিএ থার্ড ইয়ারের ছাত্রী ওই তরুণী। পাশাপাশি সে রাম মন্দিরের সাফাই কর্মী হিসেবেও কাজ করে।
তরুণীর দাবি ওই গেস্ট হাউস থেকে বংশ তাকে বনবীরপুরে একটি ব্যারেজে নিয়ে যায়। সেখানেও সে তার উপরে যৌন নির্যাতন চালায়। গত ১৬ অগাস্ট ওরা আমাকে নিয়ে যায়। তাপর ১৮ তারিখে ছেড়ে দেয়।
এদিকে, এখানেই শেষ নয়। ওই ধর্ষণের ঘটনা বাইরে বললে ওই তরুণী ও তার পরিবারকে শেষ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। পুলিসের কাছে ওই তরুণী জানিয়েছেন, ওরা আমাকে ও আমার পরিবারকে শেষ করে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছিল। তাই ভয়ে পুলিসে যেতে পারিনি। কিন্তু গত ২৫ অগাস্ট যখন মন্দিরে যাচ্ছিলাম সেই সময় বংশ আমাকে ফের অপহরণ করে। গাড়িতে বংশ ছাড়াও ছিল উদিত কুমার, শতরাম চৌধুরি ও দুজন অপরিচিত লোক। গাড়ি মধ্যেই ওরা আমাকে যৌন হেনস্থা করার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। এর মধ্যেই গাড়িটি একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। তার পরেই ওদের খপ্পর থেকে পালাতে সমর্থ হই। এরপরই আমি পুলিসে অভিযোগ করি।
অযোধ্য ক্যান্টনমেন্ট থানার অফিসার ইনচার্জ অমরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন তদন্তের পর গত ২ সেপ্টেম্বর একটি মামলা রুজু হয়েছে। তার পরেই ওই ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত বংশকে গত ৪ বছর ধরে জানত নির্যাতিতা। তাকে বিশ্বাস করাতেই এতবড় কাণ্ড ঘটেছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)