কলকাতা: রাত পেরিয়ে সকাল, শ্যামবাজারে এখনও ধর্নায় বামেরা। আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে চলছে বামেদের ধর্না কর্মসূচি। ধর্না মঞ্চ থেকে এদিন চাঁচাছোলা আক্রমণ করেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
চাঁচাছোলা আক্রমণ: আর জি কর-কাণ্ডের (R G Kar News) প্রতিবাদে রাতভর বামেদের অবস্থান-বিক্ষোভ। শ্যামবাজার মেট্রোর সামনে ধর্নায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ SFI-DYFI নেতৃত্বরা। আর জি কর মেডিক্য়ালে চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের বিচার চেয়ে গতকাল পথে নামে বামেরা। রাজাবাজার থেকে শুরু হয় মিছিল। আর জি কর হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই শ্যামবাজারে বামেদের মিছিল আটকায় পুলিশ। রাত থেকে সেখানেই অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন মীনাক্ষীরা। এদিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিচার হচ্ছে না কেন বলছেন, বিচার করছে না বলুন। আধিপত্যবাদ, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। একটা নৃশংস, ঘৃণ্য অপরাধ করেছে। আরজি করের ডাক্তারবাবুকে খুন করে ধর্ষণ করে। মানব সমাজের একটা ঘৃণ্য কাজ করেছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে দুর্নীতি করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে যখন একটা গোটা রাজ্যের মানুষ এককাট্টা হয়ে রাস্তায় নেমেছে, তখন ২৭ দিন আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠা করছে যে না আমি শাস্তি দেব না। এর বিরুদ্ধে লড়তেই হবে। আপনাকেও লড়তে হবে। আমাকেও লড়তে হবে। গোটা রাজ্যের মানুষকে লড়তে হবে। পুলিশ তো বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করছে না। অফিস থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করছে। পুলিশ আন্দোলনকে দমাতে বলছে, কিন্তু দোষীদের শাস্তি দিতে বলছে না। স্বাস্থ্যকে বেঁচে দেওয়ার দুর্নীতি এবং ধর্ষণের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গোটা রাজ্য লড়ছে। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবার পদত্যাগের দাবির কাগজ নিজে নিল আবার ছবিও তুলল।”
আন্দোলনের চাপে সরল পুলিশের লৌহকপাট। স্টেথোর সঙ্গে ২২ ঘণ্টার লড়াইয়ে ঝুঁকল লালবাজার, পিছু হটল পুলিশ। সিপি-কে প্রতীকী শিরদাঁড়া দিয়ে সিপি-রই ইস্তফার দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের। বিনীত গোয়েলের হাতে স্মারকলিপি দিয়ে অবস্থান তুললেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘১২, ১৪ অগাস্ট পুলিশি ব্যর্থতা মেনেছেন সিপি।’তবে তিনি নিজের কাজে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Sandip Ghosh Arrest: সন্দীপের দৌলতে বরাত খুলেছিল বিপ্লব-সুমনের, আদালতে CBI
আরও দেখুন