জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৬ অগাস্ট, ২০২৪। রাত ১১টার কিছু পরের ঘটনা। যা আজীবন ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের হৃদয়ে থেকে যাবে। সেদিন প্য়ারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024)। প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে কুস্তির ফাইনালে উঠে ইতিহাস লিখেছিলেন প্রাক্তন কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat)। কুস্তির ৫০ কেজি বিভাগের সেমিফাইনালে ভিনেশ সেদিন কিউবার গুজমান লোপেজকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। যাঁরা সেদিন টিভি বা মোবাইলে চোখ রেখেছিলেন, তাঁরা সেদিন দেখেছিলেন যে, রিংঙের বাইরে টাক মাথার এক মাঝবয়সী ব্য়ক্তি, হাত জোড় করে অঝোরে কেঁদেছিলেন। তিনি ভিনেশের কোচ উলার আকোস (Woller Akos)। ২০১৮ থেকে ভিনেশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হাঙ্গেরিয়ান এতটাই জুড়ে আছেন তাঁর শিষ্য়ার সঙ্গে। সেদিন উলারের ছবি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। আর এবার তাঁর পোস্ট ভাইরাল হয়ে গেল। উলার জানালেন যে, ওজন বিতর্কের আগের রাতে কী হয়েছিল ভিনেশের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: পদক পাচ্ছেন না ভিনেশ! আবেদন খারিজ আন্তজার্তিক ক্রীড়া আদালতে..
ফাইনালের সকালে যখন ভিনেশের ওজন মাপা হয়, তখন দেখা যায় তাঁর ১০০ গ্রাম বেশি ওজন রয়েছে ভিনেশের। সেই কারণে তারকা কুস্তিগীরকে ফাইনালে বাতিল ঘোষণা করা হয়! এই খবর মেনে নিতে পারেননি কেউই। এমনকী এরপর বিচার চেয়ে ভিনেশ কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট ওরফে সিএএসের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভিনেশের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। যদিও সিএসএ-র রায়ের বিস্তারিত এই মাসের শেষের দিকে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এবার আসা যাক উলারের কথায়। উলার সোশ্য়াল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট করে ভিনেশের ফাইনালের আগের রাতে গা শিউরে ওঠা বর্ণনা দিয়েছেন। যদিও পরে তিনি সেই পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছেন।
উলার লিখেছেন, ‘সেমিফাইনালের পরে ভিনেশের ২.৭ কেজি বাড়তি ওজন ছিল। এরপর আমরা ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট ব্যায়াম করেছিলাম। কিন্তু তারপরেও ১.৫ কেজি ওজন বাকি ছিল। এরপর, ৫০ মিনিটের সনা নিয়েছিল। ওর গায়ে এক ফোঁটাও ঘাম ছিল না। মধ্য়রাত থেকে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ও আলাদা আলাদা কার্ডিও মেশিনে কসরত করেছিল। এর সঙ্গেই ছিল রেস্টলিং মুভ। এক ঘণ্টা আগে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ বাকি ছিল। এরপর দুই-তিন মিনিট বিশ্রামের পর ও আবার প্রশিক্ষণ শুরু করে। ও অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কোনও ভাবে ওকে আমরা তুলে ধরি। ঘণ্টাখানেক এরপর ফের সনা। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে এই নাটকীয় বিবরণ লিখিনি। তবে আমার মনে আছে যে, মেয়েটা সে রাতে মরে যেত।’ ফাইনালের দিন ভিনেশের এমনই ডিহ্রাইডেশন হয়ে গিয়েছিল যে, তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল। ভিনেশ তাঁর কোচকে জানিয়েছিলেন যে, পোডিয়াম বা পদক শুধুই লক্ষ্য়। তবে তিনি বিশ্বের এক নম্বর ইউ সুসাকিকে হারিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, তিনিও বিশ্বসেরা।
আরও পড়ুন: ‘এখনও তাঁর দোষ!’, আরজি কর কাণ্ডে গর্জালেন দুই ভারতীয় পেসার, আগুনে বুমরা-সিরাজ
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)