অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি জারি রয়েছে। যার প্রভাব পড়ল রোগী পরিষেবায়।
গুড়াপ থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে এসেছেন ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধা। সঙ্গী তাঁর মেয়ে। কিন্তু চিকিৎসা মেলেনি জরুরি বিভাগেও এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁরা। অবশেষে ধর্নামঞ্চে যাওয়ার পর সুরাহা হয়েছে বলে জানান হয়েছে। জুনিয়ার ডাক্তাররাই জরুরিবিভাগে নিয়ে যান ওই ব্যক্তিকে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
রোগীর পরিবারের তরফে বলা হয়, ‘জরুরি চিকিৎসার জন্য কি একটা হাসপাতালে ব্যবস্থা রাখা যাচ্ছে না? আমাদের ধনেখালি থেকে রেফার করেছে। ট্রেনে নিয়ে এসেছি ৮৫ বছরের এই বৃদ্ধকে। কেন হচ্ছে এটা? ধনেখালির হাসপাতাল গ্রামীণ হাসপাতাল। সেখানকার টিকিট এখানে ছুঁড়ে ফেলা দেওয়া হল কীভাবে? কত বার ডাক্তারদের পায়ে পড়লাম একটা ওষুধ দিয়ে অন্তত বৃদ্ধর শ্বাসকষ্টটা কমাতে। সেটাও দিচ্ছে না।’
অশীতিপর বৃদ্ধ ততক্ষণে ভেঙে পড়েছেন। গুড়াপ থেকে এসে চিকিৎসা পাননি। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। কেঁদে ভাসালেন তিনি। বললেন- শরীর খুব খারাপ লাগছে। তবে ততক্ষণে এসে যান জুনিয়ার চিকিৎসকরা।
আরজি করে অচলাবস্থা
জামাইয়ের সঙ্গে আজই রাঁচি থেকে এসেছেন গীতা দে। ঝাড়খণ্ড থেকে আরজি করে এসেছেন ওই রোগী ও তাঁর পরিবার। কিন্তু এই ঘটনায় চরম বিপাকে পড়েছেন পরিবারটি। তাঁদের তরফে জানান হয়, ট্রেনে আসতে আসতে তাঁরা জানতে পেরেছেন আরজি করের ঘটনার কথা। এরপর হাসপাতালে এলে সিকিউরিটি গার্ড জানান কোনও চিকিৎসক এই মুহূর্তে চিকিৎসা করছেন না। রিপোর্ট নেওয়ার থাকলে তা পাওয়া যাবে। এই শুনেই আতান্তরে পড়েছে পরিবারটি। অনির্দিষ্টকাল এখানে থাকার আর্থিক অবস্থা না থাকায় হয়তো চিকিৎসা না করেই ফিরেই যাবেন তাঁরা, এমনটাই জানিয়েছেন।
প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে বারাসাত থেকে RG কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন বছর ৬৫-র প্রৌঢ়া। অ্যাম্বুল্যান্সে শুয়ে রোগিণীর পরিবারের অভিযোগ, ইমার্জেন্সি থেকে বলা হয়, রোগীকে ভর্তি করা গেলেও চিকিৎসক মিলবে না। কোন হাসপাতালে যাবেন, কোথায় গেলে মিলবে পরিষেবা, দিশাহারা পরিবার।
আরও পড়ুন, ৪টে বিয়ে, স্ত্রী-দের উপরও অত্যাচার, চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে ‘কীর্তিমান’ সঞ্জয়ের আরও ‘কীর্তি’ প্রকাশ্যে
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
আরও দেখুন