কলকাতা: রবিবার ভোরবেলায় কিছুক্ষণ ভালোই বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। কিন্তু, সকাল হওয়ার পর আকাশ মেঘলা থাকলেও সেভাবে আর বৃষ্টির দেখা মেলেনি মহানগরে। আজও কি একইরকম থাকবে কলকাতার আবহাওয়া? না ভরপুর বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাবে শহরে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশ সাধারণত মেঘলা থাকার কথা। মাঝারি বা হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ০.২ ডিগ্রি বেশি। শনিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে রবিবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৪ মিলিমিটার। এই সময়ের মধ্যে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৪ শতাংশ। আর রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৪ শতাংশ। রবিবার সূর্যাস্ত হয়েছে সন্ধ্যা ৬.১১ মিনিটে। সোমবার সূর্যোদয় হবে ৫টা ১২ মিনিটে।
বঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather): সাধারণ ভাবে মনে করা হয়, অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা সফরের সেরা সময়। বছরের এই পর্বে কলকাতার আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ থাকে। বিশেষ করে ডিসেম্বর-জানুয়ারি কলকাতার আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম। সকালের দিকে মিঠে রোদ, বেলা পড়লেই শীতের হালকা শিরশিরানি এই সময়ের অন্যতম চেনা ছবি। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাধিক উৎসবের আসর বসে ‘সিটি অফ জয়’-এ। মার্চ থেকে বসন্তের আমেজ। এপ্রিল-মে প্রখর গ্রীষ্মের পর বর্ষা ঢোকে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিকে। তার পর অগাস্ট পর্যন্ত বৃষ্টি। সেপ্টেম্বরেও বেশ গরম থাকে মহানগর, যদিও সাময়িক ঝড়বৃষ্টি মাঝেমধ্যে তাতে রেহাই দেয়।
ভৌগোলিক অবস্থান (Kolkata Geographical Situation): হুগলি নদীর পূর্ব তীর ও বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী। ভারতের বড় শহরের তালিকায় অন্যতম এই মহানগর। দেশের অন্যতম বড় বন্দরও বটে। গোটা পূর্বভারতের শহরকেন্দ্রিক কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান জায়গা কলকাতা। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ৯ মিটার।
আবহাওয়া ও স্বাস্থ্য…
সাধারণ ভাবে শীতের সময় বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা নতুন করে দেখা দিতে চায়। যেমন, বিভিন্ন ধরনের ব্যথা, শ্বাসযন্ত্রের সঙ্গে জড়িত কিছু নির্দিষ্ট সমস্যা। এবার নতুন করে চিন্তার কারণ বাড়িয়েছে করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ। ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে দেখা যায়, দেশের নানা প্রান্তে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে সংক্রমণ। তার উপর ডেঙ্গি, ম্য়ালেরিয়ার মতো কিছু সমস্যা মহানগরের বাসিন্দাদের কাছে অজানা নয়। সঙ্গে জ্বর, সর্দি, কাশি উপসর্গ-সহ অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণ তো রয়েছেই। সব দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্সকরা। আর গরমের হাত থেকে বাঁচতে তৈরি থাকতে হবে আরও কিছু চেনা-জানা নিয়মবিধি ঢাল-তরোয়াল নিয়ে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও দেখুন