নয়াদিল্লি : Hindenburg Research-এর নতুন দাবি ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে ফের শোরগোল পড়ে গেছে। আমেরিকার এই শেয়ার বিশ্লেষক সংস্থা তাদের নতুন রিপোর্টে কাঠগড়ায় তুলেছে SEBI-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ ও তাঁর স্বামীকে। আদানিদের বিরুদ্ধে যে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ ছিল, সেই অফশোর সংস্থায় স্টেক ছিল সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ব্যুরো অফ ইন্ডিয়া বা Sebi-র চেয়ারপার্সন ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের। এমনই দাবি করেছে হিন্ডেনবার্গ। এবার তাদের পাল্টা জবাব দিলেন সেবির চেয়ারপার্সন। ভারতে নিয়ম লঙ্ঘন-সংক্রান্ত তাঁদের শো-কজ নোটিসের উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে সেবির চেয়ারপার্সনের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ, এমনই মন্তব্য করলেন মাধবী পুরী বুচ ও ধবল বুচ।
এক বিবৃতিতে রবিবার তাঁরা বলেন, “হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে যে ফান্ডে বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে সেটা ২০১৫ সালের। যখন তাঁরা দু’জনেই সিঙ্গাপুরের প্রাইভেট সিটিজেন ছিলেন সেই সময়কার। মাধবীর সেবিতে যোগ দেওয়ার দুই বছর আগের। সর্বসময়ের সদস্য হিসাবে যোগ দেওয়ারও আগের। এই ফান্ডে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কারণ, চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার অনিল আহুজা ধবলের স্কুলের শৈশবের বন্ধু এবং আইআইটি দিল্লিতেও তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। এর পাশাপাশি সিটিব্যাঙ্ক, জেপি মর্গ্যান ও 3i Group plc-র প্রাক্তন কর্মী হিসাবে বিনিয়োগের বহু যুগের মজবুত কেরিয়ার ছিল তাঁর।”
তাঁরা আরও বলেন, “ভারতের একাধিক নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য হিন্ডেনবার্গকে শো-কজ নোটিস দেওয়া হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যের যে সেই শো-কজের জবাব না দিয়ে, তারা সেবির বিশ্বাসযোগ্যতাকে আক্রমণ করার পথ বেছে নিয়েছে এবং সেবির চেয়ারপার্সনের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে।”
এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী। এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিরোধী দলনেতা হিসাবে আপনাদের এই বিষয়ে অবগত করা আমার কর্তব্য যে, দেশের স্টক মার্কেটে প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, যে প্রতিষ্ঠান স্টক মার্কেট পরিচালনা করে তারাই আপোস করে নিয়েছে। আদানিদের বিরুদ্ধে অফশোর ফান্ড ব্যবহার করে বেআইনিভাবে শেয়ারের মালিকানা এবং মূল্যের হেরফেরের মতো গুরুতর অভিযোগ আছে। এখন এটা উঠে আসছে যে, সেবির চেয়ারম্যান মাধবী বুচ ও তাঁর স্বামীর ওই ফান্ডগুলির একটিতে আগ্রহ ছিল। এটা বিস্ফোরক অভিযোগ। কারণ, এর অর্থ আম্পায়ার নিজেই আপোস করে নিয়েছেন। দেশের সৎ বিনিয়োগকারীরা সরকারকে প্রশ্ন করছেন, কেন এখনও সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ ইস্তফা দেননি ? বিনিয়োগকারীরা যদি তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ হারিয়ে ফেলেন, কে দায়ী হবেন- প্রধানমন্ত্রী মোদি, সেবির চেয়ারপার্সন, নাকি গৌতম আদানি ? নতুন এবং গুরুতর অভিযোগ ঘোরাফেরা করছে। সুপ্রিম কোর্ট কি আবার বিষয়টিতে স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ নেবে ? এটা এখন স্পষ্ট কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বিরুদ্ধে।’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও দেখুন