জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:মানবদেহে এখন সব থেকে সাংঘাতিক এবং কঠিন অসুখ মধুমেহ বা ব্লাড সুগার। পৃথিবীতে ব্লাড সুগার পেশেন্টের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই মারণ রোগের শিকার হওয়ার আগে কেউই বুঝতে পারে না কখন অতর্কিত আক্রমণ করবে এই অসুখ।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News
খাওয়া-দাওয়ার অনভ্যাস, উল্টোপাল্টা খাওয়া দাওয়া,অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে, অল্প বয়স থেকেই অনেকে ব্লাড সুগারের শিকার হচ্ছে। একবারে অসুখের কবলে পড়লে সারা জীবন এই অসুখ বয়ে বেড়াতে হয়। ওষুধ খেয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে, কিন্ত নির্মূল হয়না কখনওই।
তবে জানেন কি আমাদের আশেপাশে রয়েছে এমন একটি ফল, যা সকলের কাছেই সহজলভ্য এবং দামেও কম। ডাক্তাররা বলেন এই ফল এবং এই গাছের পাতা সুগারের রোগীদের শরীরে প্রাণশক্তির মত কাজ করে।
আরও পড়ুন- সুরাপ্রেমী? একটু ভাবুন! রাতে যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন আপনার কিডনি পচছে…
‘পেয়ারা’- মধুমেহ বা ব্লাড সুগারের ক্ষেত্রে, পেয়ারা জীবনদায়ী ওষুধের কাজ করে। গ্রাম বাংলা শহর থেকে দেশের সমস্ত জায়গায় পেয়ারা খুব সহজেই পাওয়া যায়। দামও খুব কম। সঙ্গে রয়েছে পেয়ারা গাছের পাতা। পেয়ারা গাছের পাতা চিবিয়ে যে রস নির্গত হয়, রাতে ঘুমানোর আগে সেই রস খেয়ে ঘুমোলে, ব্লাড সুগারের ক্ষেত্রে তা ধের এর কাজ মহৌষধের কাজ করে।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, সুগারের রোগীরা দিনের যেকোনো সময় পেয়ারা খেতে পারেন। কিন্তু রাতে পেয়ারা পাতার রস খাওয়া সব থেকে কার্যকরী বলে মনে করা হয়। রাতেই পেয়ারার রস শরীরের সব থেকে বেশি কাজে দেয়। তার ফলে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকে।
আরও পড়ুন- ঘিয়ে ভাজা রসুন! হ্যাঁ, সামান্য এই উপাদানেই লুকিয়ে পরমায়ুর রহস্য…
আকারে ছোট এবং কচি- এই ধরনের পেয়ারার পাতা চিবালে তার থেকে যে রস নির্গত হয়, তা শর্করা নিয়ন্ত্রণের সহায়ক। তিন চারটে ছোট পেয়ারা গাছের পাতা ভালো করে ধুয়ে রাখতে হবে। এরপর একটা করে পাতা চিবিয়ে তার রস খেয়ে ছিবড়ে ফেলে দিতে হবে।
তবে শরীরে শর্করার পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত হলে, অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)