কলকাতা: থানায় পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ তুলে, এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন, DSO নেত্রী সুশ্রীতা সোরেন। থানায় নিয়ে গিয়ে হাত জ্বলন্ত মোম ঢেলে দেওয়ার ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। গতকাল হাইকোর্টে মামলা করেছেন মেদিনীপুরের SFI নেত্রী সুুচরিতা দাস। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই দুটো মামলার শুনানি হবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ছাত্র জখম হওয়ার প্রতিবাদে, সোমবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল SFI ও SUCI-এর ছাত্র সংগঠন DSO। ধর্মঘটের দিন মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আন্দোলন কর্মসূচি নেয় DSO. বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছনোর আগেই কর্মী সমর্থকদের রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ। অভিযোগ, এরপর ঘটনাস্থল থেকেই মহিলা আন্দোলনকারীদের মেদিনীপুর মহিলা থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও DSO নেত্রী সুশ্রীতা সোরেন বলেন, ওসি বলল, মোমবাতি নিয়ে এসো। মোমবাতি তারা পুলিশ নিয়ে এসে সেটাকে জ্বালিয়ে, সেই মোমবাতির জ্বলন্ত যে মোম, সেটা আমার হাতে ঢেলে দেওয়া হয় এবং পায়ের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। এই য়ে হাতের এখানে মোমবাতির মোম ঢেলে দেওয়া হয়েছে। এখনও সেই চিহ্ন আছে। হাত দেখিয়ে বলছে এই ভাবে আমাকে মারতে থাকে।”
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, “আমাদের মহিলা পুলিশের, মহিলা থানাতেই মহিলা পড়ুয়াদের রাখা হয়েছিল। এমনকী আমি এটাও বলতে চাই, তাঁদের যেহেতু অনেক রাতে আমরা পরিবার বা আইনজীবীর হাতে ছেড়েছিলাম, ওদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাটাও আমরা করেছিলাম। জানি না এটা কেন করছে।” এই প্রেক্ষিতেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও DSO নেত্রী সুশ্রীতা সোরেন। ওই একইদিনে অর্থাৎ সোমবারই মেদিনীপুর মহিলা থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে SFI নেত্রী সুুচরিতা দাসকেও মারধরা করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি ইতিমধ্য়েই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে শনিবারের ঘটনার পর প্রায় ১ সপ্তাহ হতে চলল। এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার থেকে অরবিন্দ ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
প্রথমে শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ। তারপর তাঁর গাড়ির ধাক্কায় এক ছাত্রর গুরুতর জখম হওয়া। তারপর থেকেই কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়ুয়াদের আসা যেমন কমেছে, ক্যাম্পাসে আসছেন না অনেক অধ্যাপকও।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri News: ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই শিশুমৃত্যুর অভিযোগ, দুই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
আরও দেখুন