সমীরণ পাল, কলকাতা: সপরিবারে বিয়েবাড়ি গিয়েছিলেন ভিন্ রাজ্যে। কিন্তু বিয়বাড়ি থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না। বরং পথ দুর্ঘটনায় বেঘোরে হারালেন চার জন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ছ’জন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। (Road Accident Deaths)

দুর্ঘটনাগ্রস্তরা বেলঘরিয়া, কামারহাটির রোজেন বাগানের বাসিন্দা।  উত্তরপ্রদেশে একটি বিয়ে বাড়িতে যোগ দিতে রওনা দেন ১০ জনের একটি দল। বিয়েবাড়ি মিটলে বৃহস্পতিবার কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন সকলে। সেই মতো একটি বোলেরো গাড়িতে চেপে সড়কপথে বেরিয়ে পড়েন। (Kolkata Family Die in UP)

কিন্তু সেই গাড়ি পথে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। উত্তরপ্রদেশের চন্দৌলীতে একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে গাড়িটির।  এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার জনের। নিহত চারজন একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের ৫০ বছর বয়সি আখতার আনসারি, ৩০ বছর বয়সি হাকিমুল এবং সাত বছরের বালক শাইস্তা হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে। আর এক নিহতকে গুড্ডু নামে শনাক্ত করা গিয়েছে। এই চারজন একই পরিবারের সদস্য। গুড্ডু উত্তরপ্রদেশে থাকতেন বলে খবর।

ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন বাকি চার জন। উত্তরপ্রদেশের একটি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। সেই খবর এসে পৌঁছতেই শোকের ছায়া এলাকায়। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন সকলে। 

গত কয়েক দিনে পর পর একাধিক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবর সামনে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশেই পথদুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে লাগাতার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ী সম্প্রতি সেই নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন। আর তার মধ্যেই একের পর এক ঘটনা। শনিবারও এ রাজ্যে পর পর দুর্ঘটনার খবর সামনে এসেছে। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ তমলুকের কুমারগঞ্জে দুর্ঘনায় মারা যান তিন জন। সেখানে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা তেলের ট্যাঙ্কারের পিছনে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। নন্দকুমারের দিক থেকে তমলুকের রাধামণির দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়ি চালক ও এক মহিলা-সহ তিন জনের। গুরুতর আহত আরও এক মহিলা। তাঁকে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় জাতীয় সড়কে গাড়ি পার্কিং নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে।

অন্যদিকে, সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বীরভূমের মহম্মদবাজারে পণ্য বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় সাইকেল আরোহী সবজি বিক্রেতার। ট্রাকের চালক পলাতক।

আরও দেখুন