ঠিক কী ঘটেছিল সেই ভয়ঙ্কর রাতে ? নিউটাউনের ঘটনায় বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার ধৃতেরই স্ত্রীর

<p><strong>পার্থপ্রতিম ঘোষ, নিউটাউন :</strong> অকল্পনীয়। ভয়াবহ। নৃশংস। নিউটাউনে বছর তেরোর স্কুল ছাত্রীকে যৌন লালসা চরিতার্থ করার পাশাপাশি যেভাবে খুন করা হয়েছে, তার জন্য কোনও শব্দই যথেষ্ট নয়!ঠিক কী ঘটেছিল সেই ভয়ঙ্কর রাতে ? কী বীভৎস যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছিল ওই ছোট্ট মেয়েটাকে? এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সেটাই তুলে ধরলেন ধৃত টোটো চালকের স্ত্রী!</p>
<p>পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁর সামনে তাঁর অভিযুক্ত স্বামী সেই মুহূর্তের বিবরণ দিয়েছেন বলেই দাবি এই মহিলার ! তাঁর কথা অনুযায়ী, "ফাঁসি দিয়ে মৃত অবস্থায়…মরে যায় মেয়েটা। মরে যাওয়ার পরে, ওই অবস্থায় আমি ধর্ষণ করি।" তাঁকে এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি প্রশ্ন করেন, "আপনাকে বলল এটা ?" উত্তরে স্ত্রী জানান, "হুম।" তিনি আরও বলেন, "ছেড়ে দেওয়ার নাম করে ওকে ওই জায়গায় নিয়ে যায়। জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে যায়। তারপরে, নেট করা ছিল। ওই নেটটাকে ছিঁড়ে উঠিয়ে লম্বা করে ওকে ঢোকাল ওখানে। গাড়ি থেকে নামাল। স্প্রিং দিয়ে গলার হাড় ভেঙে দিল। পিছনের এই হাড় ভেঙে দিয়েছিল। তারপরে মেয়েটাকে ধর্ষণ করে।"</p>
<p>খুন-ধর্ষণে ধৃত অটোচালক যে গুণধর, তাও স্পষ্ট হয়ে গেছে তাঁর স্ত্রীর কথা থেকে। তিনি বলেন, "ও বলেছিল, আমার আগে একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বলতে গেলে, থাকতাম আমরা একসঙ্গে।" </p>
<p>এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি ফের প্রশ্ন করেন, আগের স্ত্রী কীভাবে মারা গিয়েছিল? আগে যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল? উত্তরে স্ত্রী বলেন, "সে গলায় দড়ি দিয়েছিল। গ্রেফতার হয়েছিল।"</p>
<p>ক্লাস এইটের একটা মেয়ে বাড়ি ফেরার জন্য় সরল বিশ্বাসে একটা টোটোয় উঠল, আর তাঁর এই ভয়ঙ্কর পরিণতি করল টোটো চালক! ভাবা যায়? প্রতিদিন হাজার হাজার কিশোরী-তরুণী-যুবতী রাতে-বিরেতে যাতায়াতের জন্য় এরকমই টোটো-অটোয় ওঠে! আর সেই টোটোচালকই কি না হয়ে উঠল নরপিশাচ! </p>
<p>এ প্রসঙ্গে গতকাল নিহত নাবালিকার মা বলেন, "৬০ টাকা চেয়েছিল নাকি রিকশভাড়া। বলছে ঠিক আছে, তুমি বাড়ি পৌঁছে দাও, আমি তোমাকে দিয়ে দেব। বাড়ি আসেনি।"</p>
<p>নিউটাউনে নাবালিকার গলায় স্প্রিং পেঁচিয়ে খুনের যে যে হাড়হিম করা তথ্য সামনে আসছে, তা মনে করিয়ে দিচ্ছে নার্স অরুণা রামচন্দ্র শানবাগের কথা। ১৯৭৩ সালের ২৭ নভেম্বর মুম্বইয়ের হাসপাতালে, এক ওয়ার্ড-বয় কুকুর বাঁধার চেন দিয়ে তাঁর গলা বেঁধে ধর্ষণ করেছিল। যার জেরে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ৪ দশক ধরে কোমাতে থাকতে হয়েছিল অসহায়, হতভাগ্য় অরুণাকে। </p>
Source link