# Tags
#Blog

সিঙ্গুর-পর্বের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত, টাটা সন্সের চেয়ারম্যানকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর; কী কথা হল ?

সিঙ্গুর-পর্বের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত, টাটা সন্সের চেয়ারম্যানকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর; কী কথা হল ?
Listen to this article


আশাবুল হোসেন, কলকাতা : টাটা সন্সের চেয়ারম্যানকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর। নটরাজন চন্দ্রশেখরণের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তাঁঁর, এমনই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা-ইউরোপ বিমান পরিষেবা চালুর আর্জি জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে।  BGBS-এ আমন্ত্রিত ছিলেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান। ‘আগামী দিনে রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠাবে টাটা। বাংলায় বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে টাটা।’ এমনই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। Bengal Global Business Summit

বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণকে আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, জরুরি কাজের জন্য তিনি আসতে পারেননি। গতকাল সন্ধেয় তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রীর। ফোনে টাটা সন্সের চেয়ারম্যানের সঙ্গে অনেক ক্ষণ কথা হয় তাঁর। এই কথোপকথনের সময় চন্দ্রশেখরণকে মুখ্যমন্ত্রী আর্জি জানান, যেহেতু এয়ার ইন্ডিয়া-র মতো বিমান পরিষেবা অধিগ্রহণ করেছে এবং চালু করেছে টাটা…তাই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে অনুরোধ জানান, যদি কলকাতা-ইউরোপ বিমান পরিষেবা তারা চালু করে, তাহলে তিনি খুশি হবেন। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে মুখ্য়মন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছেন, এমনই দাবি তাঁর। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে এ রাজ্যে বিনিয়োগেরও আশ্বাস দিয়েছেন এন চন্দ্রশেখরণ। তিনি বলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি টাটার পক্ষ থেকে একটি দলকে তিনি কলকাতায় পাঠাবেন এবং ভবিষ্যতে কলকাতা এলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলবেন। প্রসঙ্গত, সিঙ্গুর থেকে টাটার বিদায়ের পর থেকে বিরোধীরা বরাবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে এসেছে। যদিও সিঙ্গুর-পর্ব কাটার পরে টাটা মেকানিকস থেকে বেশ কিছু টাটা কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করছে। কিন্তু, এবার টাটা সন্সের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যে আন্তরিকতার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে, তাতে আগামীদিনে রাজ্যে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে টাটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০০৬ সালে সিঙ্গুরে টাটা মোটর গাড়ি কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে আন্দোলন গড়ে ওঠে । কৃষকদের আন্দোলনের ফলে কারখানার কাজ প্রায় সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পরেও ফিরে যেতে বাধ্য হয় টাটারা। ২০১৬ সালের অগাস্ট মাসে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্ৰহণকে বেআইনি ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় ১ হাজার একর জমি চাষযোগ্য করে কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের পরে আট বছর পেরিয়ে গিয়েছে। হয় চাষ, নয় শিল্পের দাবিতে সম্প্রতি সরব হন সিঙ্গুরেব কৃষকদের একাংশ। 

  

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal