<p><strong>ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী :</strong> সরকারি প্রকল্পের নাম ‘তরুণের স্বপ্ন’। সেই প্রকল্পে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়। সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়েই নয়ছয় হচ্ছিল অনেকদিন ধরে। জেলায় জেলায় গায়েব হয়ে যাচ্ছিল ট্যাব কেনার টাকা। ইতিমধ্যেই ট্যাব জালিয়াতি কাণ্ডে অনেকজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার জালে এল মাস্টারমাইন্ড। জানা গিয়েছে, এই মাস্টারমাইন্ড মাজিয়ালি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ধৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ মুফতাজুল ইসলাম ওরফে জুয়েল। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার কোর্টগাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। স্কুলের ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করে ট্যাবের টাকা গায়েব করা হচ্ছিল। এই জালিয়াতি কাণ্ডে মাস্টারমাইন্ড জুয়েলের নাম আগেই উঠে এসেছিল সিআইডি- এর তদন্তে, এমনটাই খবর সূত্রের। জানা গিয়েছে, ট্যাবের টাকা উধাওয়ের পর নেপালে পালিয়ে গিয়েছিল জুয়েল। দেশে ফিরতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইসলামপুর সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল এই ব্যক্তির নামে। অবশেষে ট্যাবের টাকা গায়েব করার পিছনে থাকা মূল চক্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। </p>
<p>কেন জুয়েলকেই মূলচক্রী বলছে পুলিশ </p>
<p>মাস খানেক আগে এই ট্যাব কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্যে। তরুণের স্বপ্ন – এই সরকারি ট্যাব প্রকল্পের টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে, এমন অভিযোগ রাজ্যের একাধিক জেলার বিভিন্ন থানায় জমা পড়েছিল। কলকাতা পুলিশের আওতাতেও এসেছিল অভিযোগ। শুরু হয় তদন্ত। ধরপাকড়ও হয়। তখনই বারংবার উঠে আসে এই জুয়েলের নাম। কিন্তু এতদিন ধরা পড়েনি সে। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। </p>
<p>জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে মাজিয়ালি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অবসর নেন। তারপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয় মহম্মদ মুফতাজুল ইসলাম ওরফে জুয়েল। স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ট্যাব কেনার যে ওয়েব পোর্টাল ছিল তা এই জুয়েলই নিয়ন্ত্রণ করত। আর সেই সুযোগেই ট্যাবের টাকা সাফ করেছিল সে। টাকা উধাওয়ের পর জুয়েল পালিয়ে যায় নেপাল সীমান্তে। পরে দেশে ফেরার পর উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার কোর্টগাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। </p>
<p>ঠিক কী কারণে মাজিয়ালি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মুফতাজুল ইসলাম ওরফে জুয়েল সরকারি প্রকল্পে আসা ট্যাবের টাকা উধাও করেছিল তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর কে বা কারা জুয়েলের সঙ্গে এই জালিয়াতি চক্রে যুক্ত তাও জানার চেষ্টা চলছে। </p>
Source link
জেলায় জেলায় ট্যাবের টাকা উধাও, অবশেষে জালে মাস্টারমাইন্ড
