# Tags
#Blog

আয়কর দিতে হবে না আমেরিকানদের, অন্য দেশে আরও শুক্ল চাপাবেন ট্রাম্প, বড় মন্তব্য ডোনাল্ডের 

আয়কর দিতে হবে না আমেরিকানদের, অন্য দেশে আরও শুক্ল চাপাবেন ট্রাম্প, বড় মন্তব্য ডোনাল্ডের 
Listen to this article


 

Trump Tariff: নির্বাচনে (US Election Result) ইঙ্গিত দিয়েছিলন মাত্র, এবার একেবারে প্রকাশ্যে বলেই ফেললেন মনের কথা। আগামী দিনে আমেরিকা থেকে আয়কর (Income Tax) ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার পক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US) ডোনাল্ড (Donald Trump)। দেশের আয় বাড়াতে অন্য দেশের ওপর বেশি শুল্ক (Tariff) চাপাবেন তিনি। নিজেই এই ভাবনার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প (US President)।

আসলে কী বলেছেন ট্রাম্প
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন একটি কথা বলেছেন, যা সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, অন্য দেশের ওপর ভারী শুল্ক চাপিয়ে অদূর ভবিষ্যেতে তার দেশে আয়কর ব্যবস্থা বাতিল করবেন। ২৭ জানুয়ারি ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত ‘রিপাবলিকান ইস্যুস কনফারেন্স’-এ সময় এই মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, এই পদক্ষেপ আমেরিকান নাগরিকদের নিষ্পত্তিযোগ্য আয় বৃদ্ধি করবে, যা তাদের অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধ করবে।

আমেরিকা অতীতের রাস্তায় হাঁটছে
রিপাবলিকান ইস্যুস কনফারেন্সের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, 1913 সালের আগে আমেরিকাতে কোনও আয়কর ছিল না। সেই সময়ের ট্যারিফ সিস্টেমের মাধ্যমে দেশটি সমৃদ্ধ হয়েছিল। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, ১৮৭০ থেকে ১৯১৩ সালের মধ্যে আমেরিকা তার সবচেয়ে ধনী দেশে পরিণত হয়েছিল। যেখানে  ট্যারিফ বা শুল্ক-ভিত্তিক অর্থনীতি ছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, আমেরিকা যে ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছিল সেই ব্যবস্থায় ফিরে আসার সময় এসেছে।

বৈদেশিক শুল্কের উপর জোর দেওয়া
ট্রাম্প তার প্রস্তাবে আরও বলেন, বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে আমেরিকাকে তার অর্থনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করতে হবে। তিনি স্পষ্ট করেছেন, তার সরকারের লক্ষ্য তার নাগরিকদের উপর কর আরোপ করে বিদেশি দেশগুলিকে সমৃদ্ধ করা নয়। বরং বিদেশি পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করে আমেরিকান নাগরিকদের সমৃদ্ধ করা।

অর্থনীতিবিদদের সতর্কবার্তা ট্রাম্পকে
যেখানে ট্রাম্পের প্রস্তাব আমেরিকার জনগণের মধ্যে সমাদৃত হচ্ছে, অনেক অর্থনীতিবিদ এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিকল্পনা যতটা সহজ মনে হচ্ছে ,ততটা হবে না। তাদের মতে,  ট্যারিফ ও ট্যাক্স কমানোর পরিকল্পনা আমেরিকার মুদ্রাস্ফীতি বাড়াতে পারে। সেই ক্ষেত্রে সুদের হার বেশি থাকতে পারে। এ ছাড়া, বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ালে তা  মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়াতে পারে। যা শেষ পর্যন্ত আমেরিকান উপভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।

ভারতের ওপর কী প্রভাব
 ট্রাম্পের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে এর প্রভাব শুধু আমেরিকাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর ফলে ভারতসহ অন্যান্য দেশকেও নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। ভারতীয় রপ্তানিকারকরা উচ্চ শুল্কের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। বিশেষ করে আইটি পরিষেবা, গার্মেন্টস এবং ফার্মাসিউটিক্যালস এর মতো সেক্টরে এর মারাত্মক পরিণতি হতে পারে। এর বাইরে আমেরিকান পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ভারত পাল্টা জবাব দিলে তা স্থানীয় বাজারে মুদ্রাস্ফীতি বাড়াতে পারে।

Zepto : একই ক্যাপসিকাম অ্যান্ড্রয়েডে ২১, আইফোনে ১০৭ টাকা, এবার কাঠগড়ায় জেপটো !

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal