NOW READING:
অনুষ্ঠান বাড়ি গিয়ে বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যু দুই বিয়াইয়ের !
January 22, 2025

অনুষ্ঠান বাড়ি গিয়ে বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যু দুই বিয়াইয়ের !

অনুষ্ঠান বাড়ি গিয়ে বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যু দুই বিয়াইয়ের !
Listen to this article



<p><strong>সোমনাথ দাস, গড়বেতা :</strong> মর্মান্তিক ! অনুষ্ঠান বাড়িতে এসে মৃত্যু হল দুই বিয়াইয়ের! বিষ মদ খেয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানার উড়াসাই গ্রামে। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। মৃতেদর নাম সন্তু রুইদাস ও গণেশ রুইদাস।</p>
<p><strong>কী ঘটনা ?</strong></p>
<p>উড়াসাই গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণ রুইদাস। তাঁর বাড়িতে অনুষ্ঠান উপলক্ষে এসেছিলেন মুখবসান এলাকার বাসিন্দা সন্তু রুইদাস এবং গড়বেতার বাসিন্দা গণেশ রুইদাস। সন্তু এবং গণেশ সম্পর্কে বিয়াই হন। অনুষ্ঠান শেষে আজ তাঁদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, হঠাৎ সকালে একই সঙ্গে দুই বিয়াই অসুস্থ বোধ করলে নিয়ে আসা হয় চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক সন্তু রুইদাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপরদিকে গণেশের চিকিৎসা শুরু করা হয়। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনিও মারা যান।</p>
<p>জানা গিয়েছে, আজ সকালে দুই বিয়াই মিলে মদ্যপান করতে বসেন আত্মীয়ের বাড়িতে। ওই বোতলে বিষাক্ত মদ জাতীয় কিচ্ছু ছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন মৃতের পরিজনরা। এদিকে ঘটনার পর চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ হাসপাতাল থেকে দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘাটাল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পরেই সঠিক কারণ জানা যাবে।&nbsp;</p>
<p>প্রসঙ্গত, এর আগে বিষ মদ খেয়ে প্রাণহানির ঘটনা দেখা গেছে। ২০২২ সালেই পূর্ব বর্ধমানে মদের বিষক্রিয়ায় ৬ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। এর আগে ২০১৮-র নভেম্বরে বিষ মদ খেয়ে প্রাণ হারান ১২ জন। তার ঠিক এক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে মদের বিষক্রিয়ায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৫-র সেপ্টেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় মদ খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে মারা যান ২১ জন ! তারও আগে, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে জয়নগরে একই ঘটনা ঘটে। প্রাণ হারান ৫ জন।&nbsp;</p>
<p>প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে পাঞ্জাবের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘোষণায় চমক দেখা যায়। যে বিয়েবাড়িতে মদ থাকবে না এবং DJ মিউজিকও চলবে না, তাদের ২১ হাজার টাকা সাম্মানিক বাবদ দেওয়া হবে। পাঞ্জাবের ভাটিণ্ডা জেলার একটি গ্রাম পঞ্চায়েত এমনই ঘোষণা করা হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে অকারণ খরচ যাতে গ্রামবাসী না করেন, তাতে উৎসাহিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি মদ্য পান নিরুৎসাহিত করতেও এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন বালোল গ্রামের সরপঞ্চ (পঞ্চায়েত প্রধান) অমরজিৎ কৌর।&nbsp;</p>



Source link