<p>আর জি কর মামলায় আজ রায়দান করেছেন বিচারক অনির্বাণ দাস। দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় দাসকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর এই রায়ে খুশি নন প্রায় কেউই। বিচারক বলেছেন, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র এবং সিনিয়র চিকিৎসকরা। এই ঘটনা যদি বিরলের মধ্যে বিরলতম না হয়, তাহলে কোন ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলা যায়? সেই সঙ্গে উঠছে আরও একটি প্রশ্ন। এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে বাকি যারা যুক্ত তাদের কী হবে? সঞ্জয় রায়কে সামনে রেখে বাকিদের আড়াল করার চেষ্টা কেন? </p>
<p>আবার উঠেছে উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান </p>
<p>সিনিয়র এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের কেউ বলছেন আদালতের রায় মাথা পেতে নিলাম। কেউ বলেছেন স্বাগত, তবে খুশি নই। কেউ বা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই রায় দুর্ভাগ্যজনক। মেনে নেওয়া যায় না। তবে চিকিৎসক মহল থেকে শুরু করে নাগরিক মঞ্চ, সকলের তরফেই সাফ একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আজ থেকে লড়াই, প্রতিবাদ আরও বেশি করে হবে। বিচারের দাবিতে আবারও সোচ্চার হবেন তাঁরা। কারণ পুরো বিচার এখনও হয়নি। এটা আংশিক পর্যায় মাত্র। সিবিআই- এর উচিৎ সঠিক তদন্ত করে এই নারকীয় ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সকলকে খুঁজে বের করা এবং তাদের কঠিন, চরমতম, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। </p>
<p>আর জি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজায় কে কী বললেন </p>
<p>সিনিয়র চিকিৎসক তমোনাশ চৌধুরী </p>
<p>আমরা মনে করি এটি একটি বিরলতম ঘটনা। একজন পড়ুয়া চিকিৎসককে যেভাবে খুন করা হয়েছে, কর্মরত চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এটা যদি বিরলতম ঘটনা না হয়, তাহলে কোনটা। আমাদের বিশ্বাস টলে যাচ্ছে। হাসপাতালে শুধু নার্স, ডাক্তাররা থাকেন না। অনেক মহিলা রোগী থাকেন। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আদালত যা রায় দিয়েছে আমরা মাথা পেতে নিলাম। কিন্তু লড়াই, প্রতিবাদে আরও বেশি করে সোচ্চার হতে হবে। তদন্তকারী সংস্থার দায়িত্ব পুরো তদন্ত করা, যারা এই কাজে যুক্ত তাদের সকলকে খুঁজে বের করা। </p>
<p>সিনিয়র চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্র </p>
<p>বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা বলেছিল সিবিআই। সিবিআই- এর থেকে সিল বন্দি খাম পেয়ে চমকে উঠেছিলেন বিচারক। এইরকম বীভৎস ঘটনা, শিউরে উঠেছিলেন। এখন বলা হচ্ছে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়। সঞ্জয় রায়কে একা শাস্তি দেওয়া হল। আদৌ কি তার একার পক্ষে এরকম নৃশংস কাজ করা সম্ভব? কোনটা সত্যি? তাহলে কি এটা প্রাতিষ্ঠানিক খুন? সত্যকে গোপন করার চেষ্টা চলছে। আসল দোষীদের খোঁজার দাবিতে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। </p>
<p>সিনিয়র চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় </p>
<p>সিবিআই এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা বলে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষ যখন মনে করেছেন যে কর্মক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম, সেখানে সিবিআই তা প্রমাণ করতে পারল না। সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া, শ্লথ গতি, ভূমিকা নিয়ে আগেও অনেক প্রশ্ন উঠেছে। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে অনেক দেরি করছে। তথ্যপ্রমাণ, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, একাধিক লোক যে যুক্ত তা ফরেন্সিক রিপোর্টেও বলা হয়েছে। ঘটনা কোথায় ঘটেছে তাও স্পষ্ট নয়। যতজন যুক্ত রয়েছে তাদের বিচার হবে এই আশা রাখছি। </p>
Source link
‘একা সঞ্জয় দোষী নয়, আর কে আছে জানতে চাই’, ফের উঠছে স্লোগানের গর্জন

+ There are no comments
Add yours