কলকাতা : দেড়মাসের বেশি বাংলাদেশের জেলে বন্দি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। সোমবার বাংলাদেশ হাইকোর্টে তাঁর জামিন-আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। এর আগে বারবার পিছিয়েছে সন্ন্যাসীর শুনানি। এবার কি আদৌ হবে শুনানি ?
গত ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগর দায়রা আদালতে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অপূর্ব ভট্টাচার্যর নেতৃত্বে ১১ জন আইনজীবীর একটি দল সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণর হয়ে সওয়াল করেন। কিন্তু খারিজ হয়ে যায় ইসকনের সন্ন্যাসীর জামিনের আবেদন। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন চিন্ময়কৃষ্ণ। জেল থেকে মুক্তি দিলে তিনি লোক জড়ো করতে পারেন, তাতে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। চিন্ময়কৃষ্ণর আইনজীবীরা সওয়াল করেন, তিনি বাংলাদেশে জন্মেছেন, দেশমাতৃকার অসম্মান করতে পারেন না। আধঘণ্টা ধরে সওয়াল-জবাব চলার পর চট্টগ্রাম নগর দায়রা আদালতের বিচারক সইফুল ইসলাম চিন্ময়কৃষ্ণর জামিন-আবেদন খারিজ করে দেন। এরপরই বাংলাদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ইসকনের সন্ন্যাসীর আইনজীবীরা।
গত ২৫ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ইউনূস সরকার। সেই থেকে জেলবন্দি রয়েছেন সন্ন্যাসী। আইনি জটে বারবার পিছিয়েছে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন-মামলার শুনানি। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তাঁর শারীরিক অবস্থা। ইউনূস সরকারকে জেলবন্দি সন্ন্যাসীর মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করার আবেদন জানিয়েছেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। কিন্তু লাভের লাভ হয়নি কিছুই। তাঁর রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে আটকে রাখা হয়েছে প্রায় ২ মাস হতে চলল।
গ্রেফতারের পরের দিন, চট্টগ্রাম আদালতে পেশ করার পর তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। এর ১ সপ্তাহ পর মঙ্গলবার ফের তাঁর জামিন মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তার আগে, তাঁর এক আইনজীবীকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এক আইনজীবীর চেম্বারে ভাঙচুর করা হয়। ফলে, ভয়ে কোনও আইনজীবী আদালতে উপস্থিত না থাকায় এক মাস পিছিয়ে যায় সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদনের শুনানি। আদালত চত্ত্বরে প্রকাশ্য়ে হুমকি দিতেও শোনা যায় কট্টরপন্থী আইনজীবীদের। এরপর ডিসেম্বরেই বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ চিন্ময়কৃ্ষ্ণর জামিনের আবেদন করে। কিন্তু তাঁর আবেদনও শোনা হয়নি আদালতে। উল্টে তিনি বাংলাদেশে অন্যান্য আইনজীবীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ, তাঁকে দেওয়া হয় হুমকিও। তারপর তিনি কলকাতায় আসেন চিকিৎসার জন্য ২ জানুয়ারি শুনানির দিন থাকলেও অসুস্থতার কারণেই বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি তিনি। এখন দেখার, বাংলাদেশ হাইকোর্টে শুনানি হয় কিনা।
ইউনূস-জমানার বাংলাদেশে আরও কতদিন জেলে বন্দি থাকতে হবে সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে? আজ কি অপেক্ষার অবসান হবে?
আরও পড়ুন : ঘুমন্ত ভাগ্য উঠবে জেগে, এই সপ্তাহ মোড় ঘোরাবে ৫ রাশির জীবনে
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours