# Tags
#Blog

‘ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করা মানে মুখ্যমন্ত্রীর অবমাননা,মুষ্টিমেয় পরিচালকদের পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’

‘ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করা মানে মুখ্যমন্ত্রীর অবমাননা,মুষ্টিমেয় পরিচালকদের পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’
Listen to this article


কলকাতা: টেকনিশিয়ান-পরিচালক দ্বন্দ্বে টালিগঞ্জের স্টুডিওপাড়ায় (Tollygung Conflict) অচলাবস্থা। প্রসেনজিতের (Prosenjit Chatterjee) বাড়িতে বৈঠক ডাকেন পরিচালকরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা মুখ খুলেছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। আজই বৈঠকে বসেছে ফেডারেশনও (Tolly Federation)। সাংবাদিক বৈঠকে দাবি, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইন্ডাস্ট্রিকে স্তব্ধ করা হয়েছে’। 

পরিচালকদের কাজ বন্ধের ডাক ‘অনভিপ্রেত’, দাবি ফেডারেশনের

টেকনিশিয়ান ও পরিচালকদের দ্বন্দ্বে একপ্রকার স্তব্ধ বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। এদিন ফেডারেশনের তরফে দাবি করা হয়, ‘পরিচালকদের এই কাজ বন্ধের ডাক কলাকুশলীদের কাছে অনভিপ্রেত। কেন অচলাবস্থা সৃষ্টি হল তার কারণ ফেডারেশন জানে না।’ তাঁদের দাবি, ‘রেজিস্ট্রার্ড সিনেমার জন্য মৌ চুক্তি আছে, কিছু শর্ত আছে, সবাই সেটা মেনে চলেন। ৫ মে ২০২৪, রাহুল মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী, পরিচালক গিল্ডের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়, তাঁরাই কর্মবিরতি ঘোষণা করেন, আমরা মান্যতা দিই। অসহযোগিতার সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিই। হঠাৎ তিনি বলছেন এটা ঠিক কাজ হয়নি, এমনটা আগে কেন বললেন না?’ 

ফেডারেশনের সরাসরি কটাক্ষ, ‘এটা তো ইসি কমিটিকে অবমাননা করা হল। এই সমস্যার সমাধানের জন্য, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ও প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের কর্ণধারকে নিয়ে মিটিং করা হয়। ওঁদের অনুরোধেই রাহুল মুখোপাধ্যায়কে ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসার হিসেবে থাকার সিদ্ধান্তে সম্মতি দিই। কিন্তু ২৬ জুলাই দেখা যায়, সমস্ত কলশিটে রাহুলের নাম। তারপর শোনা যায়, ডিরেক্টর্স গিল্ড কর্মবিরতি তুলে নিয়েছে। এটা তো দ্বিচারিতা, তাতেই আমাদের আপত্তি। আমরা প্রোডাকশন ম্যানেজারকে কলটাইম নিতে বারণ করি। কারণ আমরা সৌমিক হালদারকে পরিচালক হিসেবে মান্যতা দিই, আর সেই সিদ্ধান্তেই আমরা অটল থাকি। এই সামান্য ঘটনা নিয়ে, কিছু মুষ্টিমেয় পরিচালক ইন্ডাস্ট্রিকে স্তব্ধ করেছেন, কোনও আলোচনা করেননি আমাদের কারও সঙ্গে। এর আগেও আমরা আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়েছি, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়নি। কারণ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন, ‘আলোচনার দরজা খোলা থাকুক, ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করা যাবে না। বিশেষত যেখানে নো ওয়ার্ক নো পে।’ ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করে কিছু পরিচালক মুখ্যমন্ত্রীরও অবমাননা করেছেন। আমরা একে অপরের পরিপূরক, একা কিছু হয় না। পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইন্ডাস্ট্রিকে স্তব্ধ করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন: Prosenjit Chatterjee: ‘পরিচালকদের আবেগে আঘাত লেগেছে, কেউই কাজ বন্ধের পক্ষপাতী নয়’, মন্তব্য প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের

ফেডারেশনের তরফে দাবি, মনোমালিন্য হতেই পারে, কাউকে ছাড়া কারও চলবে না। ‘পরিচালকদের ফিরে আসার’ কলাকুশলীদের। যদিও তাঁদের নিশানায় বারবারই উঠে এল ‘পরিচালকদের অহঙ্কার’। 

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal