পার্থর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল ফের, রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের
![পার্থর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল ফের, রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের পার্থর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল ফের, রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের](https://i3.wp.com/feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/12/24/54e716a06b8fe310627f3afb18262ccb1735031103828338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&w=991&resize=991,564&ssl=1)
কলকাতা: বিড়ম্বনা বাড়ল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। হাইকোর্টে পার্থ-সহ পাঁচ জনের জামিনের আবেদন খারিজ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের জামিনের আবেদন খারিজ করল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর তৃতীয় বেঞ্চ। ‘বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য মৌন থাকতে পারে না’, মন্তব্য বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর। (Partha Chatterjee)
গত ২০ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হন পার্থ-সহ পাঁচ জন। সেখানে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অপূর্ব সিনহা রায় জামিন নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেন। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় জামিনের পক্ষে ছিলেন। বিচারপতি সিনহা জামিনের বিরোধিতা করেন। এর পর সেই মামলা প্রধান বিচারপতির কাছে ফেরত যায়। প্রধান বিচারপতি তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করেন। তাতেই এতদিন সময় লাগল। (Calcutta High Court)
মঙ্গলবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী সেই মামলার শুনানি করেন। তিনি জানান, এই মুহূর্তে পাঁচ জনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়। বিচারপতি সিনহার সঙ্গেই একমত প্রকাশ করেন তিনি। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এদিন রাজ্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জানান, নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার ক্ষেত্রে যে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল সিবিআই-এর তরফে, তা নিয়ে রাজ্য মৌনতা বজায় রাখে। রাজ্যের তরফে এমনটা কাম্য ছিল না। রাজ্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। দীর্ঘ দিন কেটে গেলেও এ নিয়ে রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠছে। বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করায় অনুমতি দেওয়া নিয়ে রাজ্য মৌন থাকতে পারে না বলে জানায় আদালত।
পাশাপাশি, যে প্রক্রিয়ায় অযোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হয়েছে, তা নিয়ে এদিন কড়া মন্তব্য করে আদালত। বলা হয়, এমন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হলে, সমাজের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালত। সেই কারণেই জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের দায়ের করা মামলায় ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়ে গিয়েছেন পার্থ। ফেব্রুয়ারির আগে কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাঁর জেলমুক্তির কথা বলা হয়। কিন্তু পার্থর বিরুদ্ধে সিবিআই-এর দায়ের করা প্রাথমিক দুর্নীতি এবং এসএসসি নিয়োগের দু’টি মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। ফলে এখনউ জেলমুক্তি হচ্ছে না পার্থর। বাকিদেরও জেলমুক্তি ঘটছে না এখনই।
অন্য দিকে, আজও পার্থদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করতে পারল না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই নিয়ে ED-কে তীব্র ভর্ৎসনা করল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। আধিকারিকদের ঢিলেমির জন্যই চার্জগঠনে দেরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিচারক। প্রয়োজনে রাত জেগে কাজ করতে বললেন আধিকারিকদের।
আরও দেখুন