কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু বিতর্কে দলেই চাপে ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মন্তব্য দল সমর্থন করে না বলে কড়া বার্তা দেওয়া হল তৃণমূলের তরফে। আজ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের এক সিনিয়র মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়রের মন্তব্য নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক দানা বাঁধে। সেই মন্তব্য দল অনুমোদন করে না বলে জানিয়ে দেওয়া হল। এটাও স্পষ্ট করা হয়েছে, তৃণমূলের অবস্থান বা আদর্শ এই বক্তব্যে প্রকাশিত হয় না। পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক কাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়, এমন কোনও মন্তব্য করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানানো হয়েছে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল।
The All India Trinamool Congress firmly disassociates itself from and strongly condemns the statement made by Shri Firhad Hakim, MIC GoWB, at an event day before yesterday. These comments do not reflect the party’s position or ideology.
Our commitment to peace, unity, and…
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) December 16, 2024
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর যখন অত্যাচারের একের পর এক অভিযোগ, গত কয়েকদিনে সামনে এসেছে, তখনই ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিয়ে করা রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক! শনিবার বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য়র পোস্ট করা একটি ভিডিওয় মুসলিমদের নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায় ফিরহাদ হাকিমকে। তিনি বলেন, “আমি এমন একটি সম্প্রদায় থেকে, যে সম্প্রদায় বাংলাতে তো ৩৩ শতাংশ, কিন্তু হিন্দুস্তানে মাত্র ১৭ শতাংশ, আমাদের সংখ্যালঘু বলা হয়। আমি নিজেকে সংখ্যালঘু ভাবি না। আমি মনে করি, যদি আল্লার আমাদের ওপর করুণা হয়, …তাহলে আমরা একদিন সংখ্যাগুরু হতে পারব। আল্লা সহায় হলে আমরা এটা করেই ছাড়ব। কিছু হলেই মোমবাতি মিছিল করা হয়। উই ওয়ান্ট জাস্টিস… উই ওয়ান্ট জাস্টিস। আমি বলছি মিছিল করে বিচার চেয়ে কিছু হবে না। নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যাও যাতে বিচার চাইতে হবে না, তুমি নিজেই বিচার করবে।”
এই ভিডিও পোস্ট করে কড়া আক্রমণ করেন অমিত মালব্য। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান লেখেন, উনি (ফিরহাদ হাকিম) দাবি করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গ ও দেশের বাকি অংশে মুসলিম সম্প্রদায়ই দ্রুত সংখ্য়াগরিষ্ঠ হবে।
এখানেই থেমে থাকেননি অমিত মালব্য। তার দাবি, ফিরহাদ হাকিম এমন ভবিষ্যতের কথা বলছেন, যেখানে মুসলিমরা আর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ বা মিছিলের ওপর নির্ভর করবে না। বিচারকে নিজেদের হাতে তুলে নেবে।
কলকাতার পরিস্থিতি নিয়েও আশঙ্কাপ্রকাশ করে লিখেছেন, কলকাতার একটা বড় অংশে বিশেষ করে বস্তি এলাকায় ক্রমশ অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বাড়ছে।
আরও দেখুন