সৌমিত্র রায়, কলকাতা: বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রান্ত (Bangladesh Violence), প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ চেয়ে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি দিল লাল হলুদ কর্তৃপক্ষ।
দিনকয়েক আগেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে নিরন্তর সংখ্যালঘুদের ওপর ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছিল যে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকেও চিঠি দেবেন তাঁরা। ক্লাব কর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছিলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষিত যেখানেই থাকুক, আমরা বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে চাই। রাজনৈতিক রংয়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে দাঁড়াতে চাই। আমরা ওখানে মা-বোনেদের পাশে দাঁড়াতে চাই। আত্মীয় স্বজনদের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমাদের সমর্থকদের অধিকাংশেরই শিকড় বাংলাদেশে। অবিলম্বে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন বন্ধ হোক।’
যেমন কথা তেমনই কাজ। আজই কিছুক্ষণ আগেই প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ইস্টবেঙ্গলের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ময়দানের প্রথম ক্লাব হিসাবে ইস্টবেঙ্গলই বাংলাদেশের হয়ে যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল। ওপার বাংলার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের গভীর সম্পর্ক। ক্লাবের গুচ্ছ গুচ্ছ সমর্থকের আদি বাড়ি, পূর্বপুরুষদের বাসভিটে বাংলাদেশ। সেখানেই সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের শিকার হতে হওয়ায় উদ্বিগ্ন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ক্লাবের ইমেলে ওপার বাংলার অত্যাচারের কথা জানিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে। এরপরেই লাল হলুদের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চিঠিতে ইস্টবেঙ্গলের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয় যাতে ওপার বাংলার সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তা পান। এই চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে লাল হলুদের ক্লাবকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, ‘এটা (চিঠি) আমাদের ক্লাবের সিদ্ধান্ত। ক্লাবের সমর্থকরা এমনটাই চাইছিলেন। আমাদেরও মনে হয় যে ওপারে আমাদের যে সব সমর্থকরা কষ্টে রয়েছেন, তাদের কষ্ট কমানোর জন্য আমরা যদি কিছু করতে পারি, যদি কোনও সুরাহা সম্ভব হয়, সেটা যেন করা হয়। আমাদের অনুরোধ তো একটাই, কোনওভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া , সমর্থকদের সুরক্ষিত রাখা।’
এই প্রতিবাদ, বিরোধ কিন্তু কেবল এপার বাংলায় আর থেমে রইল না। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে বাংলাদেশেই প্রশ্নের মুখে পড়লেন মহম্মদ ইউনূস। ইউনূসের সামনে দাঁড়িয়েই সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে সরব বাংলাদেশের কবি। কেন গ্রেফতার করা হল সন্ন্যাসীকে? ইউনূসকে প্রশ্ন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ফরহাদ মজহারের। ‘আমি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে মনে হয়নি’। ‘সন্ন্যাসীর কোনও মন্তব্যের ভিন্নমত থাকতেই পারে’। কেন গ্রেফতার করা হল? আইনি ভিত্তি কী? ইউনূসকে প্রশ্ন বাংলাদেশের বিশিষ্ট ফরহাদ মজহারের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: উদ্বেগের কারণ পরিবেশ ও শারীরিক ফুটবল, সমর্থকদের জন্যই চেন্নাইয়িনকে হারাতে চান ইস্টবেঙ্গল কোচ
আরও দেখুন