জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ছিলেন পিতৃত্বকালীন ছুটিতে। ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টে সহ-অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) কাঁধেই সঁপে দেওয়া হয়েছিল নেতৃত্বের গুরুভার। তাঁর অসাধারণ বোলিং ও দুর্দান্ত নেতৃত্বে ভারত ২৯৫ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে। পারথ এখন অতীত, আগামিকাল, ৬ ডিসেম্বর থেকে এবার অ্যাডিলেডে শুরু ইন্দো-অজি দ্বিতীয় টেস্ট। গোলাপি বলে দিন-রাতের খেলা। কিন্তু আলোচনায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড় (Sourav Ganguly-Rahul Dravid)
আলোচনায় ২০০৩ সালের অ্যাডিলেড টেস্ট। এরকমই এক ডিসেম্বরে ভারত ২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিল। সৌরভের ভারত চার টেস্টের সিরিজ খেলেছিল রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। গাবায় প্রথম টেস্ট ড্র হয়ে গিয়েছিল। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে ভারত দুরন্ত ভাবে ফিরে আসে চার উইকেটে জয় তুলে নিয়ে। এরপর মেলবোর্নে তৃতীয় টেস্ট পন্টিংরা ৯ উইকেটে জিতেছিলেন। সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট আবার ড্র হয়েছিল সিডনিতে। তবে আজও ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে আছে অ্যাডিলেড জয়ের কথা।
আরও পড়ুন: ‘তিনটে পরোটা, আনলিমিটেড তরকারি’… রাজুদা এবার জামাইকায় বাংলাদেশ-উইন্ডিজ ম্যাচে!
অজিরা টস্ট জিতে প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৫৫৬ রান। অধিনায়ক পন্টিং ২৪২ রান করেছিলেন। ভারত প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছিল। দুই ওপেনার আকাশ চোপড়া (২৭) ও বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (৪৭) আউট হয়ে গিয়েছিলেন ৮১ রানের মধ্য়ে। চারে নেমে সেদিন সচিন করেছিলেন মাত্র ১ রান। সৌরভ পাঁচে নেমে ২ রান করেই রান আউট হয়ে যান। তখন সৌরভের উল্টোদিকে ছিলেন দ্রাবিড়। যদিও ভারতের হয়ে ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেছিলেন দ্রাবিড় ও ভিভিএস লক্ষ্মণ। পঞ্চম উইকেটে তাঁরা ৩০৩ রান যোগ করেছিলেন। দ্রাবিড় ২৩৩ রান করেছিলেন, লক্ষ্মণের ব্য়াট থেকে এসেছিল ১৪৮ রান। আজিদের ৫৫৬ রানের জবাবে ভারত শেষ পর্যন্ত ৫২৩ রান তুলতে পেরেছিল।
সৌরভকে রান-আউট করার অনুশোচনা আজও দ্রাবিড়ের ভীষণ রকম রয়েছে। আসন্ন আইপিএলে দেশের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী কোচ দায়িত্ব নিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের। স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে দ্রাবিড় ২০০৩ অ্যাডিলেড টেস্টের স্মৃতিচারণা করেছেন। সৌরভের রান আউট হওয়ার প্রসঙ্গে দ্রাবিড় বলেন, ‘আমি ভেবেই ছিলাম যে, ক্য়াপ্টেনকে রান-আউট করে দিয়েছি, এবার অর্থবহ কিছু করতে হবে। সৌরভকে রান আউট হওয়ায় পুরোপুরি আমারই দোষ ছিল। এই ভুলের দায়ভার নিজের কাঁধেই নিচ্ছি আমি।’
লক্ষ্মণের সঙ্গে ঐতিহাসিক যুগলবন্দির প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমি শুধু ব্যাট করারই চেষ্টা করছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে। ৫৫৬ বিরাট রান ছিল। আমরা চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম। একসঙ্গে শুধু শুধু লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলাম। লক্ষ্মণ ও আমি আগেও একসঙ্গে বেশ কয়েকটি বড় জুটি বেঁধেছিলাম। এর আগে ২০০১ সালে আমরা কলকাতায় এরকম করেছি। এমনকী ঘরোয়া ক্রিকেটেও আমরা প্রথমবার পশ্চিমাঞ্চলের হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম বড় পার্টনারশিপের ইনিংস খেলেছিলাম। তাই আমরা একসঙ্গে অনেকবার জুটি বেঁধেছি। লক্ষ্মণের সঙ্গে দারুণ লাগত ব্যাট করতে। ও খুব সুন্দর প্লেয়ার, ওর খেলা দেখতেও ভালো লাগে। ও অ্যাডিলেডে পাল্টা আক্রমণ করেছিল। আমরা একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছিলাম।’ অ্যাডিলেড টেস্টে অজিরা দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৯৬ রানে আউট হয়ে গিয়েছিল। অজিত আগরকর একাই তুলে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। ভারত রান তাড়া করে চার উইকেটে জিতে গিয়েছিল। দ্রাবিড় দ্বিতীয় ইনিংসেও অপরাজিত ৭২ রান করেছিলেন।
আরও পড়ুন: অ্যাডিলেড কি অনিশ্চিত রাহুল? কেন সাংবাদিকদের বললেন, ‘আমি প্রথম একাদশেই…’!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)