কলকাতা: টানা সাত ম্যাচের অপেক্ষা। অবশেষে সমাপ্ত হল। অবশেষে লাল হলুদ শিবির আইএসএলে জয়ের মুখ দেখল। ঘরের মাঠে শীর্ষস্থান দখলের লড়াইয়ে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে ১-০ হারাল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal vs NorthEast United)।
ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা গ্রিক ফরোয়ার্ড দিয়ামান্তাকস (Dimitrios Diamantakos) এ দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহমেডানের বিরুদ্ধে ম্যাচটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জোগায়। ওদের বিরুদ্ধে ক্লিন শিট রাখতে পারায় আমরা প্রথম পয়েন্ট পাই। আজকের জয় আমাদের তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছে। গত ম্যাচের মতো আমরা একসঙ্গে ডিফেন্স করেছি। যার ফলে প্রতিপক্ষের কাজটা আরও কঠিন হয়ে ওঠে। দলের জন্য আমাদের সব ম্যাচেই এ রকম লড়াই করতে হবে। এই খেলাটা আমাদের বজায় রাখতে হবে’।
পরপর দলের ব্যর্থতার পরেই কার্লেস কুয়াদ্রাতের বিদায় ঘটে। তাঁর জায়গায় লাল হলুদের রিমোট কন্ট্রোল হাতে তুলে নেন আরেক স্প্যানিয়ার্ড অস্কার ব্রুজোন (Oscar Bruzon)। নতুন কোচ এসে যে দলের খেলোয়াড়দের মনোভাব বদলে দেন, তা স্বীকার করে ইস্টবেঙ্গলের দিমি বলেন, ‘নতুন কোচ আসায় আমাদের কিছু জিনিস বদলাতে হয়। সেগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ায় উপকারই হয়েছে আমাদের। নিজেদের গোল অক্ষত রাখাটা যে জরুরি, এর ওপর জোর দেন তিনি। দলের ছেলেদের যে সমস্যাগুলো ছিল, সেগুলোও উনি মেটান। এগুলো করেই দলকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন কোচ’।
এ দিনের ম্যাচে যে শুধু গোল করাই তাঁর লক্ষ্য ছিল না, লক্ষ্য ছিল মরশুমের প্রথম তিন পয়েন্ট ঘরে তোলা। ম্যাচ শেষে দিয়ামান্তাকস বলেন, ‘আমি যখনই মাঠে নামি, তখন নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। এর আগেও গোল করেছি। কিন্তু আজ শুধু গোল করা লক্ষ্য ছিল না, দলকে ম্যাচ জেতানোর লক্ষ্য নিয়েও নেমেছিলাম’।
ফরাসি মিডফিল্ডারের অ্যাসিস্টেই এ দিন গোল করেন তিনি। সারা ম্যাচে তালাল ও দিয়ামান্তাকসের পার্টনারশিপ ছিল চোখে পড়ার মতো। তালালের সঙ্গে তাঁর ভাল বোঝাপড়া গড়ে ওঠার কারণ জানতে চাইলে গ্রিক তারকা বলেন, ‘তালাল অল্পস্বল্প গ্রিক বোঝে। তাই আমাদের মধ্যে মাঝে মাঝে গ্রিকেও কথাবার্তা হয়। ও খুব ভাল খেলোয়াড়। মাঠে ও মাঠের বাইরেও ও আমাকে খুবই সাহায্য করে। ওর সঙ্গে খেলাটা আমি উপভোগ করছি’।
(তথ্য: আইএসএল মিডিয়া)
আরও পড়ুন: ব্যক্তিভিত্তিক নয়, দলগত ফুটবলেই মিলেছে লিগের প্রথম জয়, নর্থইস্টকে হারিয়ে দাবি ইস্টবেঙ্গল কোচের
আরও দেখুন