জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ বাংলাদেশে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতারি নিয়ে উত্তাপ বাড়ছে বাংলাদেশে। সেই উত্তাপের আঁচ এসে পড়েছে এদেশেও। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর সনাতনিদের বিক্ষোভের পর আজ বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় আইএসএফ। এর পাশাপাশি এবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।
আরও পড়ুন-‘অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে, অবিলম্বে মুক্তি চাই…’, চিন্ময় দাসের পাশে হাসিনা…
শুক্রবার কলকাতায় কঙ্গনা বলেন, বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা আমাদের হিন্দুদের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়। ওখানে হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে। সাধুসন্তদের যে দুর্দশা তা খুবই উদ্বেগের। সবথেকে বড় কথা এনিয়ে এদেশে কোনও আন্দোলন নেই।
এখানেই থেমে থাকেননি কঙ্গনা। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছেন তখন থেকেই অশান্তি ছড়াচ্ছেন। এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা রয়েছি। বিশেষকরে ওখানে যারা হিন্দু রয়েছেন তাদের সঙ্গে আমরা রয়েছি। শ্রীকৃষ্ণ ওঁদের রক্ষা করুন।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৮ দফা দাবিতে হিন্দুদের মুখপাত্র হিসেবে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে জনসভার পর ৩০ অক্টোবর রাতে ১৯ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়। এই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকায় লং মার্চের ঘোষণাও দিয়েছিল সনাতনী জাগরণ মঞ্চ। পরে সেই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ রয়েছে চিন্ময়ের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর তার মুক্তির দাবিতে ময়দানে নেমে পড়েছে বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এনিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ভারত সরকারও এনিয়ে সুর চড়াচ্ছে। গত ২৬ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয় চট্টগ্রাম আদালত। তার পরই আদালত চত্বরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে চিন্ময়ের অনুগামী ও পুলিস। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক আইনজীবীর। তার পরেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওই দিনই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ও জামিন নাকচের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। চিন্ময় প্রভু বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র। এই ঘটনার জেরে আরও অনেক সংখ্যালঘুর উপরে হামলা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি বহু মন্দিরের দেব দেবীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই বার্তায় আরও বলা হয়েছে ওইসব ঘটনায় হামলাকারীরা এখনও পলাতক। যারা চিন্ময় দাসের গ্রেফতারিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছেন তাদের উপরে হামলা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের আবেদন যে সে দেশে সব সংখ্য়ালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হোক। তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের সুযোগ দেওয়া হোক। এদিকে, আজও এনিয়ে সরব হয়েছে দিল্লি। বলা হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেশের সব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারেরই।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)