দীপাবলির সেরা ১০ বাজির কোনটার সঙ্গে কোন বলিউড অ্যাক্টরের মিল আছে!

Estimated read time 1 min read
0 0
Listen to this article
Read Time:15 Minute, 21 Second


স্বরূপ দত্ত

রাত পোহালেই কালীপুজো। যে ঠাকুরের তেজে আমরা রক্ষা পাই। যাঁর ভরসায় আমরা শক্তি পাই। আরও কত কত কী। আর এই কালীপুজো মানেই তো ‘মামদোবাজি’! শুধু বাজি আর বাজি। কেউ নিদান দেন আলোর উত্‍সব। কেউ তোয়াক্কা না করেই বানিয়ে ছাড়েন, শব্দের উত্‍সব। আপনি আলোর না শব্দের উত্‍সব পালন করবেন আপনার ব্যাপার। তবে, যেগুলো জ্বালাতে মানা করা হচ্ছে, অনুগ্রহ করে সেগুলো মেনে উত্‍সব পালন করুন। তাতে ভালো আপনার। সঙ্গে আপনার পাশের মানুষের। এবার আসি আমার প্রসঙ্গে। কালীপুজোতে আমবাঙালি মূলত যে ১০টা বাজি সবথেকে বেশি পোড়ায়, সেগুলোর একটা তালিকা করলাম। আর সেগুলোর সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করলাম বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। কোন বাজির নাম এবং চরিত্রের সঙ্গে দিব্যি মিলিয়ে দেওয়া যায় তাঁকে, তাঁরই চেষ্টা। আসলে সবই যে ‘তারাবাজি’! শুধু একটা অনুরোধ – ভাববেন না, এতে কাউকে কোনও অসম্মান করা হচ্ছে। তাঁরা নিজেদের কাজে সেরা, তাই তো তাঁরা তারা। এবার শুরু করি এক এক করে।

১০) ফুলঝুরি – আপনি যত দামি বাজি পোড়ান, ফুলঝুরি ছিল, আছে, থাকবে। মৃদু আলোয় অন্তর ভালো। এই যেন সূত্র ফুলঝুরির। আর বলিউডের ফুলঝুরি বলতে চাই সোনম কাপুরকে। তাঁর আর কিছুই হয়তো নেই। কিন্তু মুখটা ভারী মিষ্টি। সোনম হাসলে যে ফুলঝুরির মতোই মন ভোলানো মৃদু আলোতে চারিদিক আলোকিত হয়।

৯) চরকা বাজি – মাটিতে, মেঝেতে, বোঁ বোঁ করে ঘুরবে। কী ভালো লাগে দেখতে। ঠিক যেন নিজের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে আবার একটা পাক দেওয়ার চেষ্টা। অনেকটা আমাদের পৃথিবীর মতোই। এক্ষেত্রে বলিউডের চরকা বাজি বলতে চাই পরেশ রাওয়ালকে। তিনি সব জায়গায় আছেন। দুর্দান্তভাবে আছেন। বোঁ বোঁ করে ঘুরছেন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণের কোনও অভাব নেই। অভাব নেই আলোরও।

৮) কালিপটকা – একসঙ্গে ফাটালে দারুণ মজাদার। পট-পট-পট-পট, ব্যস! শেষ। শব্দ অল্প। কিন্তু অস্তিত্ব দীর্ঘদিনের। বাঙালির অনেক প্রজন্মের চিরকালের সঙ্গী। দাম নেই। জাত নেই। তা বলে মিস করাও নেই। অনেক বাজি ফাটিয়েও যদি একটা কালিপটকার প্যাকেটে আগুন না লাগালেন, তাহলে যেন বাজি পোড়ানোর মজাটাই মাটি। আমার বিচার বলিউডের কালিপটকা হয়ে উঠছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। অনেক তারকার ভিড়। তবু, নওয়াজের উপস্থিতি আলাদা করে চোখ টানে। নিজে বড় বাড়ি থেকে আসেননি। তাই কুলীনও নন। আজকের দিনে চরিত্রাভিনেতাদের নাম করলে, সেখান থেকে কালিপটকার মতোই বাদ দিতে পারবেন না নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকেও। কী তাই না?

৭) সাপ বাজি – আমাদের ছেলেবেলার সঙ্গী। আজও রয়ে গেল সেই ছেলেবেলার সঙ্গী। বড়রা পছন্দ করে না। কিন্তু ছেলেবেলায় একটাও সাপবাজির কালো ট্যাবলেটে আগুন দেয়নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু প্রচণ্ড ধোঁয়া গলগল করে নির্গত হয়। কালো ছাই পাকিয়ে ওঠে সাপের মতো। ভয়ঙ্কর সাপ। কিন্তু অতটাও নয় যে, ছোবল মারবে। বলিউডের সাপ বাজি বলতে চাই কঙ্গনা রানাওয়াতকে। সব ঠিকঠাকই চলছিল তাঁর। প্রচুর জনপ্রিয়তা। হাত ভর্তি পুরস্কার। কিন্তু ঋত্বিক রোশন পরবর্তী জীবনে বড্ড প্রতিহিংসাপরায়ণ। কিছুতেই হৃত্বিককে ভুলতে পারছেন না যেন। গতকালও নেহা ধুপিয়ার শো-তে গিয়ে বিশ্রীভাবে হৃত্বিকের নিন্দে করেছেন। কুইন ধীরে ধীরে সাপবাজির আদলে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে উঠছেন। (আবারও বলা, অসম্মাণ করা নয় মানুষটাকে)।

৬) দোদোমা – একবার নিচে ফাটবে। তারপর মোটেও শেষ নয়। উপরে উঠে আবার ফাটবে। একটার সঙ্গে আরেকটা ফ্রি। বাজি দিয়েই যেন মানুষের মনে ঢুকে গিয়েছে কথাটা। দোদোমা। এই মুহূর্তে বলিউডের সবথেকে বড় দোদোমা তো ফাওয়াদ খানকেই বলতে হচ্ছে। এ দেশেও ফেটেছেন। তাই তো ভারতে তাঁর এত অনুরাগী। আবার পাকিস্তানেও কী তিনি কম ফেটেছেন! সেই জন্যই তো ভারত পর্যন্ত গলি থেকে রাজপথে চলে এসেছিলেন। মোদ্দা কথায়, ফাওয়াদ সিনেমায় অভিনয় করেও ফাটছেন। পাকিস্তানে চলে গিয়েও ফাটছেন। একেবারে রোদে দেওয়া টাটকা-তাজা দোদোমা।

৫) রকেট – উফঃ, মানুষের অন্যতম পছন্দের বাজি। বোতল থেকে উড়িয়ে দেওয়া। কেউ কেউ তো কায়দা করে হাতে ধরেও রকেট ওড়ান। আর হুঁশ করে সেটা উড়ে যায় অনেক উপরে। দ্রুত উত্থানের আরেক নামই যেন রকেট বাজি। বলিউডে এই জায়গাটা এখন অবশ্যই দেওয়া যেতে পারে তাপসী পান্নুকে। তিনি সুন্দরী তো ছিলেনই। পিঙ্কে দেখিয়েছেন, তিনি অভিনয়টাও পারেন। আর এখন তো তিনি বলিউডের যেকোনও প্রযোজক, পরিচালকের পছন্দের। সত্যিই রকেট গতিতে উত্থান হচ্ছে তাপসী পান্নুর।

৪) প্যারাসুট – প্রথমে উড়ে যাবে অনেক উপরে। তারপর গোটা আকাশ আলোয় মুড়িয়ে দেওয়া যেন। রঙবেরঙের আলোর খেলা দেখিয়ে তারপর সে নামবে। কিন্তু মোটেও দ্রুত গতির পতন নয়। ধীরগতিতে। জ্বলতে জ্বলতেই। সেই জ্বলাটাও বড় দৃষ্টিনন্দন। চোখ জুড়িয়ে দেওয়া। বলিউডে এই মুহূর্তে এই জায়গাটা পেতে পারেন অমিতাভ বচ্চন। তাঁর মতো গতিতে অত উপরে কেই বা উঠেছেন? উপরে উঠে তাঁর থেকে বেশি আলোই বা কে ছড়িয়েছেন? আর এই পৃথিবীর নিয়মেই কিছু উপরে উঠলে একদিন ঠিক নেমে আসবেই। কিন্তু অমিতাভ বচ্চনের যে ‘পতন’ নেই। তিনিও নিশ্চয়ই কোনওদিন নামবেন। কিন্তু সেটা নিজের শরীরের পেরে ওঠা না পারার উপর। এবং সেটাও ধীর গতিতে। আকাশভরা আলো ছড়াতে ছড়াতে। এটা বলায় কোনও সংশয় নেই।

৩) রঙমশাল – অনেক বাজি পুড়িয়েও একটা বেশ পেল্লাই সাইজের রঙমশাল না জ্বালালে মনটা ভালো লাগে বলুন? আর হাতে ধরে থাকা কোনও বাজির মধ্যে রঙমশালের থেকে বেশি আলোই বা কে দেবে? একটা রঙমশাল জ্বলে উঠলে, চারপাশটা আলোয়-আলোয় একেবারে দিনের মতো সাদা। বলিউডের রঙমশাল ক্যাটরিনা কাইফ। তিনি সত্যিই আলো। সবার পাশে আলো। তিনি দাঁড়ালে, সব সুন্দরীর, সব সুন্দরের সৌন্দর্য ঢেকে যায়। ক্যাটরিনা যে এতটাই সুন্দর। আর শুধু সৌন্দর্যই নয়, ক্যাটরিনা অনেক বেশি নিরাপদ। সানি লিওনকে পছন্দ করি বললে, বাবা বকতে পারে। কিন্তু ক্যাটরিনাকে সুন্দরী বললে মনে হয় না, বাবারও কোনও আপত্তি থাকবে বলে!

২) চকোলেট বোম – বেঁধে দেওয়া ডেসিবেলের বেশি হলে একদম ফাটাবেন না। কিন্তু বলিউডের চকোলেট বোমের কথা ভাবতে বসলে সলমন খান ছাড়া কারও কথা মনে হল না। দুনিয়ার বাজির শব্দ কানে আসুক, কিন্তু চকোলেট বোম ছাড়া সব নিরামিশ। আমিরের কোয়ালিটি আছে। শাহরুখের পপুলারিটি। কিন্তু বজরঙ্গী ভাইজান ওই চকোলেট বোমটাই। সেরা আকর্ষণ। ফিল্ম রিলিজ হলেই তিনশো কোটি, চারশো কোটি। তাতে কিছু থাক অথবা না থাক। আর তিনি কথা বললেও একটা একটা চকোলেট বোমাই তো। ব্যক্তিগত জীবনও বোমা। ফিল্মি চরিত্রেও যে চকোলেট বোম। নাহলে দাবাং বলে ফাটবে কী!

১) তুবড়ি – কিন্তু সবার চাইতে ভালো পাউরুটি আর ঝোলাগুড়ের মতোই। নিজে জ্বালিয়ে মজা। লোকে জ্বালালেও মজা। বাড়িতে জ্বললে ভালো লাগে। পাশের বাড়ির হিংসুটে প্রতিবেশীরা জ্বালালেও ভালো লাগে। আবার রাস্তার মাঝে পাড়ার ছেলেরা জ্বালালেও ভালো লাগে। তুবড়ি যেন প্যাকেজ একটা। আর এই মুহূর্তে বলিউডের সেরা প্যাকেজের নাম দীপিকা পাড়ুকোন। সুন্দরী, আকর্ষণীয়, স্টাইলিস, বড় ভালো নাচেন, আরও ভালো অভিনয় করেন। হলিউডেও গৃহপ্রেবশ করে ফেলেছেন। আর দেশের অভিনেত্রীদের মধ্যে সবথেকে বেশি টাকা পারিশ্রমিকও নিচ্ছেন। স্বয়ং অমিতাভ বচ্চনও বলছেন, পিকুতে দীপিকা তাঁর থেকেও বেশি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন! না, তুবড়ির শিরোপা দীপিকা পাড়ুকোন ছাড়া বলিউডে আর কাউকে এই মুহূর্তে দিতে পারলাম না।

(এই লেখা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মত। এরসঙ্গে ২৪ ঘণ্টা ডট কম যে এক মত হবেই এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। দীপাবলির আগাম শুভেচ্ছা রইলো। খুব আনন্দ করুন। আপনার জীবন ভরে উঠুক আলোয়। কিন্তু সাবধানও থাকবেন খুব। আলোর উল্টোদিকটা যে অন্ধকার। এটা মনে এবং মাথায় রেখেই বাড়ির বাচ্চাদের নিয়ে পালন করুন জীবনের সেরা দীপাবলি।)

আরও পড়ুন মল্লিকা শেরওয়াত কত আগে করে দেখিয়েছেন, আর ধোনিদের মুখ থেকে লোকে আজ সচেতন হচ্ছে!





Source link

About Post Author

JagoronBarta

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *