জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনের তদন্তে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের মূল আসামী শিব কুমার গৌতম পুলিসের জেরায় কবুল করেছে বাবা সিদ্দিকিকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার পর হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েছিল সে। শুধু তাই নয় বাবা সিদ্দিকি মারা গিয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে সে লীলাবতী হাসপাতালের বাইরে আধঘণ্টা অপেক্ষাও করে।
আরও পড়ুন-আগামিকাল থেকেই পড়বে পারদ, ঠান্ডাতেও ভোগাবে বৃষ্টি!
শিব কুমার পুলিসকে আরও জানিয়েছে গুলি করার পর সে তাড়াতাড়ি তার শার্ট বদলে ফেলে। তার পর সোজা চলে যায় লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানে প্রায় আধঘণ্টা অপেক্ষা করার পর জানতে পারে মৃত্যু হয়েছে বাবা সিদ্দিকির। ওই খবর জানার পরই সে ফিরে যায়। প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালেও কি হামলার ছক ছিল শিবের?
উল্লেখ্য়, গত ১২ অক্টোবর সকাল নটা নাগাদ মুম্বইয়ের বান্দ্রায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাবা সিদ্দিকি। সেখানেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় শ্যুটাররা। তার বুকে বেশ কয়েকটি গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নিয়ে যাওয়া হল লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পরই জানা যায় ওই খুনের সঙ্গে জড়িত বিষ্ণোই গ্যাং।
শিব কুমার ও তার চার বন্ধুর গভীর রাতে ফোনে কথাবার্তা থেকেই মেল ক্লু। সেই সূত্র ধরেই মুম্বই পুলিস ও উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে শিব কুমার, অনুরাদ কাশ্যপ, জ্ঞাণপ্রকাশ ত্রিপাঠি, আকাশ শ্রীবাস্তব ও অখিলেন্দ্র প্রতাপ সিংকে।
জানা গিয়েছে সে মুম্বইয়ের কুরলাতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত তারা। যার ভাড়া প্রতি মাসে ১৪ হাজার টাকা। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ২.৫ থেকে ৩ লাখ টাকাতে কনট্রাক্ট করে তারা। এই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। চার অভিযুক্তের মধ্যে, তিনজন এর আগে পঞ্জাবের একটি জেলে একসঙ্গে বন্দী ছিলেন, যেখানে তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের একজন সদস্যের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এই সমিতির মাধ্যমেই তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এই কন্ট্রাক্ট কিলিং এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে গ্যাং এর প্রভাব এবং সংযোগ একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)