জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খাতায়কলমে অবশ্য তাঁর অবসরের দিন আগামী রবিবার, ১০ই নভেম্বর। কিন্তু তার আগেই শুক্রবার শীর্ষ আদালতে ছিল চন্দ্রচূড়ের কর্মজীবনের শেষ দিন। এবং সেই শেষ দিন তিনি বললেন, “আমায় ক্ষমা করে দিয়েন, যদি আমি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি।” তারই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমার জীবনের পথ চলতে এই কোর্ট খুব সাহায্য করেছে। আমাদের এমন এমন মানুষের সঙ্গে আলাপ হয় যাদের হয়ত কমবেশি চিনি আমরা। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই কোর্টে যদি আমি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি, তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন। এত সংখ্যক মানুষ আসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।”
আরও পড়ুন: Chief Minister: কে খেল মুখ্যমন্ত্রীর সিঙাড়া? গায়েব-কাণ্ডে তুলকালাম…
যদিও সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই অবসর নিলেন তিনি। কবে শীর্ষ আদালতে সেই সমস্ত মামলার নিষ্পত্তি হবে, তা স্পষ্ট নয়। সোমবার দেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। চন্দ্রচূড় ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। ঘোষণা করেছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়। কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার শেষ দেখে যেতে পারলেন না তিনি।
আরও পড়ুন: Bengaluru Couple: বাড়িতেই মাদকের বাগান! ঘর থেকে পুলিস তুলে নিয়ে গেল দম্পতিকে…
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে বাংলার যে ৫টি মামলার মিমাংসা হল না সেগুলি হল, এক, আর জি করে ধর্ষণ-খুন মামলা, দুই, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তিন, দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্ট পশ্চিমবঙ্গের ১২ লক্ষের বেশি ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। চার, গত জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজভবনে এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন। পাঁচ, গত জানুয়ারি মাসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি মামলা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)