কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডের পর ৯০ দিন কাটতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত সুরাহা হয়নি। বিচার পাননি নির্যাতিতার পরিবার। সেই আবহে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আর জি কর মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি উঠছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টেও সেই দাবি উঠল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্যত্র মামলা সরানোর অনুরোধ গৃহীত হল না শীর্ষ আদালত। এতে নিম্ন আদালতের কাজকর্ম নিয়ে সন্দেহের পরিবেশ তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। (RG Kar Case Hearing)
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা, শুভেন্দু অধিকারীও এর আগে আর জি কর মামলা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি তোলেন। এদিন আদালতে সেই অনুরোধ জানান এক আইনজীবীও। কিন্তু প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, এর আগে অন্য রাজ্য থেকে মামলা সরিয়ে দেখেছেন। এ প্রসঙ্গে মণিপুরের উদাহরণও চানেন তিনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে আর জি কর মামলা অন্যত্র সরানো হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন সঞ্জয়। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে, চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন। সেই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর দাবি তুলেছিলেন শুভেন্দু। (Supreme Court)
মামলা অন্যত্র সরানোর প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, জেলার বিচারপতি যথেষ্ট সক্ষম। আগে নিম্ন আদালতে শুনানি হোক। সেখানেও প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। মামলা সরিয়ে নিয়ে গেলে নিম্ন আদালতের উপর সন্দেহের পরিবেশ তৈরি হবে। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার প্রকাশ্যে নির্যাতিতার নাম মুখে এনেছিলেন বলে আদালতকে জানান আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। এতে আদালত জানায়, প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের হয়ে আইনজীবী মেনকা গুরুস্বামী জানান, এমন একটি অভিযোগ কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছে। এখন কেন সেটি আবার শীর্ষ আদালতে তোলা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আর জি করের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ গোড়াতেই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় CBI-এর চার্জশিটেও শুধুমাত্র সঞ্জয়ের নামই অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছে। শুধুমাত্র সঞ্জয়কেই কেন অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই প্রশ্নও ওঠে আদালতে। সেই নিয়ে আজ প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, এভাবে নিম্ন আদালতকে সন্দেহ করা উচিত নয়। জেলা আদালতে শুনানি শুরু হতে চলেছে। বাকিদের ভূমিকা বিয়ে তদন্তের প্রয়োজন মনে করলে, নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, তাতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না। ১১ নভেম্বর থেকে নিম্ন আদালতে চার্জগঠন এবং শুনানি হতে চলেছে আর জি কর কাণ্ডে। তাই নিম্ন আদালত চাইলে তেমন নির্দেশ দিতে পারে বলে জানায় আদালত।
সবিস্তার আসছে
আরও দেখুন