কলকাতা: সামনেই তৃণমূলের ২১ জুলাই। কী হবে সেদিন ? এনিয়ে প্রশ্ন সবার মুখে মুখে। এদিকে তারই আগে রাজ্যে আসার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদিরও। এদিকে এমন এক সময়ে বিশেষ করে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এর পরেই দিলীপ ঘোষকে নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে কিছুদিন আগে, আনুষ্ঠানিকভাবে যখন শমীক ভট্টাচার্যের নামে, বিজেপি নব নির্বাচিত রাজ্য সভাপতি হিসেবে ঘোষণা হচ্ছে, সেদিন তাঁকে দেখা না গেলেও, আজ শমীকের সঙ্গে দেখা করতে বিজেপি দফতরে দিলীপ ঘোষ। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা সবাই বিজেপি। আমাদের প্রতীক পদ্মফুল। ক্ষণিকের জন্য কোথাও ভুল হতে পারে। ক্ষণিকের জন্য কোথাও দূরত্ব তৈরি হতে পারে। কিন্তু এর অর্থ এটা নয়, যে সে দলের বাইরে চলে গেছেন।’
আরও পড়ুন, কলেজে কলেজে মনোজিৎ মডেল, ছবি প্রকাশ শুভেন্দুর
শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘১৫ দিনের মধ্যে সঙ্ঘবদ্ধ বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখতে পাবে। সংবাদমাধ্যম কিংবা আমাদের সমালোচক, যারা আমাদের, যারা আমাদের ঘৃণা করেন, তাঁরা বিজেপি সঙ্ঘবদ্ধতা বলে যেটা বোঝেন, আপনারা যারা রাজনীতি করে এসেছেন, এতদিন বিজেপি সংষ্কৃতিতে, আপনারা জানেন বিজেপির সংষ্কৃতি কী ? বিজেপি ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে, থাকবে। ..কাউকে অন্য দলের লোক বলে দাগিয়ে দেবেন না। কাউকে অন্য দলের লোক বলে দূরে সরিয়ে দেবেন না। এই লড়াই পশ্চিমবঙ্গ বাঁচানোর লড়াই। এই লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে, তৃণমূলের অমৃতরস পান করেনি, যারা চূড়ান্ত বিপরীত অবস্থায় থেকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতীককে ঘাম-রক্ত দিয়ে দেওয়ালে এঁকে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাসঙ্গিক করেছিলেন, সেই তৃণমূল স্তরের কর্মী, যারা টিকিট কিনতে পারেননি, তাঁদেরও সঙ্গে নিন। …আগে পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচান। আগে পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করুন। এটা অস্তিত্বরক্ষার সংকট। হিন্দু বাঙালিদের জন্য শেষ নির্বাচন। জাতীয়তাবাদী মুক্তমনষ্ক প্রগতিশীল মুসলমানদের জন্য, এই নির্বাচন শেষ নির্বাচন। না হলে পরের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ঘুরে আসে, আমাদের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ভিতরে,র ডিজাইনটার সঙ্গে জম্ম-কাশ্মীরের ডিজাইনটার কোনও পার্থক্য থাকবে না।’