NOW READING:
Dilip Ghosh:
July 8, 2025

Dilip Ghosh:

Dilip Ghosh:
Listen to this article


কমলাক্ষ ভট্টাচার্য:  দিলীপের আগমন বার্তায় সল্টলেক পার্টি অফিসে অনুগামীদের ভিড়। আসানসোল, বর্ধমান থেকেও অনুগামীদের ঢল। শমীকের জন্য ফুলের তোড়া। দিলীপ ঢুকলেই স্লোগান উঠবে ‘দেখো দেখো কৌন আয়া! শের আয়া! শের আয়া’!

শমীকের আহ্বান: 

রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেয়েই শমীক ভট্টাচার্য বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপিতে আদিদের গুরুত্ব বাড়বে। স্বাভাবিকভাবেই ‘ব্রাত্য’ দিলীপকে নিয়ে তাঁর অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে চর্চা সবমহলে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সল্টলেকে দিলীপকে আমন্ত্রণ জানালেন শমীক। শোনা যাচ্ছে, তাতে সাড়া দিয়ে এদিন একবছর পর সল্টলেকে বিজেপির রাজ্যদপ্তরে মঙ্গলবার যাবেন দিলীপ ঘোষ। এই বৈঠকে কি গলবে বরফ? ফের বিজেপির মূলস্রোতে ফিরবেন দিলীপ? উত্তরের অপেক্ষায় সবমহল

প্রাক্তনের সংবর্ধনা নতুনকে: 

তবে ঘোর বর্ষায় জট কাটার ইঙ্গিত রয়েছে। অবশেষে কি গলবে বরফ? ২১ জুলাইয়ের তীব্র জল্পনার মধ্যেই আজ প্রাক্তনের সংবর্ধনা নতুনকে। প্রাক্তন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বর্তমান শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। আজ বিকালেই দিলীপ ঘোষ আসছেন শমীক ভট্টাচার্যের কাছে। নব নির্বাচিত বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা জানাতেই আজ বিকালে দীর্ঘদিন পর সল্টলেকে বিজেপি দফতরে পা দেবেন দিলীপ ঘোষ।

বঙ্গ বিজেপির দাপুটে নেতা: 

শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদারের জমানায় বঙ্গ বিজেপির এককালের সব থেকে দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ যে অনেকটাই ব্যাকফুটে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে বাংলায় বিজেপির উত্থানের নেপথ্যে কিন্তু ছিলেন এই ‘দাবাং’ নেতাই। তাই দল ‘ব্রাত্য’ করায় অভিমান হয়েছে নেতার। কিন্তু ভেঙে পড়ার লোক তিনি নন। তাই খোদ আরএসএস নেতৃত্বকে সাফ জানিয়েছিলেন, নিজের মতো করেই কাজ করবেন। অনুমতিও মিলেছিল। কিন্তু তারপরও বঙ্গ বিজেপির কোনও সভা, সমিতিতে ডাক পাননি দিলীপ। মোদি-শাহ শহরে এসেছেন, সভা করেছেন, কিন্তু সেখানেও ‘ব্রাত্য’ই ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ-বিধায়ক। স্বাভাবিকভাবেই অভিমান একটা সময়ে পাহাড়ের আকার নিয়েছে। প্রকাশ্যে পালটা আক্রমণের পথে হেঁটেছেন দিলীপ। বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘কুছ পরোয়া নেহি, দিলীপ একাই একশো।’

‘আমি ডাকলে যাই, না ডাকলে যাই না’

প্রসঙ্গত দুদিন আগেই অভিমানী দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘আমি ডাকলে যাই, না ডাকলে যাই না!’ শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি হওয়ার পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘পার্টি যদি মনে করে আমি এখন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করব, তাহলে তাই করব। আমাকে ডাকলে আমি যাই। না ডাকলে যাই না।’ দিলীপের এই কথার সুরে যেন ধরা পড়েছিল প্রচ্ছন্ন অভিমান-ই।

‘২১ জুলাইয়ে সব প্রশ্নের সমাধান’

যা থেকে জল্পনা উসকে ওঠে, অভিমানী দিলীপ ঘোষ কি এবার তৃণমূলে চলে যাবেন? যে প্রসঙ্গে জল্পনায় ঘৃতাহুতি দিয়েই যেন দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘২১ জুলাইয়ের পর আর কোনও প্রশ্ন থাকবে না, সব প্রশ্নের সমাধান হয়ে যাবে! কোনও না কোনও মঞ্চে তো আমাকে দেখা যাবেই। আসুক না ২১ তারিখ। রাজনীতিতে জল্পনা চলে। দেখা যাক না, কী হয়। মানুষ কী চাইছে, সেটাই আসল।’

‘আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ…’

প্রসঙ্গত নিজেকে ‘পার্টি-ম্যান’ বলে দাবি করা দিলীপ ঘোষের স্পষ্ট কথা-ই ছিল, ‘আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পার্টি ঠিক করবে। আমাকে বিজেপি নিয়ে এসে একটা জায়গা দিয়েছিল। আমি নিজে থেকে আসিনি। পার্টি চেয়েছে তাই আমি এসেছি। পার্টি আমাকে রাজ্য সভাপতি করেছে, বিধায়ক করেছে, সাংসদ করেছে, জাতীয় নেতা করেছে। আমি নিজে থেকে কিছু চাইনি। এখন পার্টি যদি মনে করে আমি এখন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করব, তাহলে তাই করব।’

‘আমি মন্দির নিয়ে রাজনীতি করি না’

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আমন্ত্রণে দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন সস্ত্রীক যাওয়া থেকেই দিলীপ ঘোষকে নিয়ে জোর জল্পনার শুরু। তার আগেই যদিও দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল প্রাক্তন সাংসদের। তারমধ্যে দিলীপ ঘোষের দীঘায় জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে যাওয়া বিজেপির অস্বস্তি আরওই বাড়িয়ে তোলে। যদিও দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ‘যাঁরা মন্দির নিয়ে রাজনীতি করার, তাঁরা করুক। আমি মন্দির নিয়ে রাজনীতি করি না। ওটা আমার রাজনীতি নয়।’ 

‘আস্থাকে সম্মান রাখাই আমার কাজ’

এদিন অবশ্য শমীক ভট্টাচার্যকে সংবর্ধনা জানাতে বিজেপি দফতরে তাঁর যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, দিলীপ ঘোষ বলেন,’আমার রাজ্য সভাপতির যদি আমার উপর আস্থা থাকে, সেই আস্থাকে সম্মান রাখাই আমার কাজ। বিজেপি ঐক্যবদ্ধ আছে। কেউ কেউ নিজেকে আলাদা মনে করেন।’





Source link