লন্ডন: অত্যন্ত পাটা পিচে রানের পাহাড়, এজবাস্টনে ৩৩৬ রানের ব্যবধানে জয় সত্ত্বেও শুভমন গিল পিচের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন এমন পিচ হলে বোলারদের কাজটা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। সম্ভবত ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্টও সেই কথা মাথায় রেখেই তৃতীয় টেস্টে (ENG vs IND 3rd Test) লর্ডসের পিচ প্রাণবন্ত করার জন্য আবেদন জানিয়েছে। অন্তত রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
ইংল্যান্ড দলে জোফ্রা আর্চার রয়েছেন। তৃতীয় টেস্টের আগে সারের ফাস্ট বোলার গাস অ্যাটকিনসনকেও দলে নেওয়া হয়েছে। এই দুই তারকা ফাস্ট বোলার যাতে নিজেদের আগুনে গতির মাধ্যমে ভারতীয় দলকে চাপে ফেলতে পারেন, সেই কারণেই ইংল্যান্ড ফাস্ট বোলিং সহায়ক লর্ডসের পিচের দাবি রেখেছেন।
এমসিসির প্রধান মাঠ প্রস্তকারক কার্ল ম্য়াকডারমট জানান ইংল্যান্ড কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম চান, ‘এমন পিচ যাতে আরেকটু গতি থাকবে, বাউন্স থাকবে এবং বল একটু স্যুইংও করবে।’ অনেকটা গত মাসের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের মতোই পিচের আবদার করেছে ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট।
ম্যাকালাম কিন্তু লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে আর্চার, অ্যাটকিনসনদের খেলানোর পূর্বাভাস দিয়েই রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘ও (আর্চার) নিঃসন্দেহেই নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ। আমাদের ফাস্ট বোলাররা পরপর দুই ম্যাচ খেলেছে এবং পরের টেস্টের আগে সময় অত্যন্ত কম রয়েছে। আমরা এই ম্যাচটা ভুল যেতে চাই। তবে জোফ্রাকে ফিট, শক্তিশালী ও মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। ওকে দলে নেওয়ার জন্য কথাবার্তা বলা হবে। টেস্ট ক্রিকেটে ও কী করতে পারে, সেটা আমরা সকলেই জানি।’ ম্যাকালাম আরও যোগ করেন, ‘লর্ডস টেস্টের জন্য অ্যাটকিনসন দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ওর দিকে ভালভাবে নজর দেওয়া হবে।’
ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসও আর্চারকে নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টের পর মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ও আদৌ লর্ডসে খেলবে কি না তার সিদ্ধান্তটা আমাদের আগামীতে নিতে হবে। সবাই একসঙ্গে রয়েছি। একটা ঐক্যবদ্ধ দল। আর্চার দীর্ঘদিন পর টেস্ট ফর্ম্য়াটে ঢুকেছে। ও দনলের সঙ্গে কিছুদিন সময় কাটিয়েছে। দলের স্বার্থে লর্ডসে আর্চারকে নেওয়া হতেই পারে।’
লাল বলের ক্রিকেটে সম্প্রতি সাসেক্সের হয়ে ১৮ ওভারের স্পেলে ৩২ রান খরচ করে এক উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। এমনকী ব্যাট হাতেও ৩৪ বলে ৩১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৩০ বছরের পেসার দুইটো টেস্ট ম্যাচ খেলে চার উইকেট তুলে নিয়েছেন। দীর্ঘ চার বছর পর টেস্ট প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে লর্ডসে খেললে তিনি কেমন পারফর্ম করেন, সেইদিকে কিন্তু সকলেরই নজর থাকবে।