জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ‘বড়দিন’। বিজেপির দাপটে নাভিশ্বাস উঠেছে শিবসেনা(উদ্ধব গোষ্ঠী) ও মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। সেই অবস্থা সম্ভবত কাটতে চলেছে। কারণ ২০ বছর এক হলেন উদ্ধব ঠাকরে ও রাজ ঠাকরে। শনিবার মুম্বইয়ে ‘আওয়াজ মারাঠিচা'(মারাঠিদের আওয়াজ) নামে এক অনুষ্ঠানে দুই নেতাকেএক সঙ্গে দেখা যায়। যৌথভাবে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদ্ধব ও রাজ ঠাকরের দল। ২০০৫ সালের এর এরকম দৃশ্য দেখল মুম্বই।
মহারষ্ট্র শাসন করছে মাহাযুথি জোট। সম্প্রতি তারা মহারাষ্ট্রের প্রাইমারি স্কুলে হিন্দিকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে চালু করেছিল। সেই নির্দেশ শেষপর্যন্ত তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারের ওই ঘোষণায় কাছাকাছি এনে দিল দুই নেতাকে। দুজনেই সরকারের ওই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন।
এদিন ওই অনুষ্ঠানে রাজ ঠাকরে বলেন, বাল ঠাকরে যা পারেননি, অন্য অনেকে যা পারেননি তার ফড়নবীশ তা করে দিলেন। উনি আমাদের দুজনকে এক করে দিলেন। বিধানভবনে আপনাদের ক্ষমতা থাকতে পারে কিন্তু রাস্তায় আমরা শক্তিশালী। এই তিন ভাষার চিন্তাভাবনা আপনাদের মাথায় এল কী করে? এটা এসেছে একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য। এখন হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট সবকিছুই হয় ইংরেজিতে। এরকম কোনও রাজ্যে নেই। তাহলে মহারাষ্ট্রে তা হবে কেন? মহারাষ্ট্রে জেগেছে। এখন কী হয় দেখুন।
উল্লেখ্য, সামনের মুম্বই পুরসভার ভোট। ফলে শিবসেনা(উদ্ধব) ও মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার এই কাছাকাছি আসাকে অনেকেই বিজেপির জন্য বিপদ বলেই মনে করছেন। রাজ ঠাকরে এদিন বলেন, হিন্দুর বয়স মাত্র ২০০ বছর। মুম্বই ও মহারাষ্ট্রে গায়ে হাত দিয়ে দেখুন একবার, কী হয়। মানুষকে মারাঠি বলতেই হবে। আর ড্রামা করলে থাপ্পড় খেতে হবে। মারাঠি ভাষার সঙ্গে কোনও সমঝোতা হবে না।
আরও পড়ুন-কলকাতা নয়, বর্ধমানেই এবার একটি পুজোর বাজেট দেড় কোটি, চোখ কপালে…
আরও পড়ুন-রোগী সেজে এসে জনপ্রিয় অভিনেত্রীর বাবাকে গুলি, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য
২০০৫ সালে মালবন বিধানসভা উপ নির্বাচনে রাজ ঠাকরে ও উদ্ধব ঠাকরেকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় বাল ঠাকরের হাতেই ছিল শিবসেনার রাশ। ফলে দুই নেতা ছিলেন একসঙ্গে। ওই নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পরই রাজ ঠাকরে শিবসেনা ছেড়ে দেন।
ওই অনষ্ঠানে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, অনেক বছর পর আমরা একসঙ্গে হয়েছি। একটা জিনিস স্পষ্ট যে আমাদের মধ্যে কোনও দূরত্ব আর নেই। আমরা এখন থেকে একসঙ্গেই থাকব। আমরা বিজেপি ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশনের আইডিয়ার মুখোশ খুলে দেব। আমরা হিন্দু ও হিন্দুস্থানকে এক করে দেখতে পারি। কিন্তু হিন্দু, হিন্দুস্থান, হিন্দু নয়। আমারা মারাঠি ভাষাকে বাধ্যতামূলক করেছিলাম। আমরা তা করে ছাড়ব।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)